শাস্তিনিকেতন তোমাকে ডাকছি— জাগো, জাগো, জাগো । জাগরণের আলোকে সমস্ত দেশ উজ্জল হয়ে উঠুক। ; - s সন্ধ্যার উপদেশ ১১ মাঘ ১৩২১ একটি মন্ত্র মানুষের পক্ষে সব চেয়ে ভয়ংকর হচ্ছে, অসংখ্য । এই অসংখ্যের সঙ্গে একলা মামুষ পেরে উঠবে কেন ! সে কত জায়গায় হাতজোড় করে দাড়াবে! সে কত পূজার অর্ঘ্য কত বলির পশু সংগ্রহ করে মরবে ! তাই মানুষ অসংখ্যের ভয়ে ব্যাকুল হয়ে কত ওঝা ডেকেছে, কত জাদুমন্ত্র পড়েছে তার ঠিক নেই । একদিন সাধক দেখতে পেলেন, যা-কিছু টুকরো টুকরো হয়ে দেখা দিচ্ছে তাদের সমস্তকে অধিকার করে এবং সমস্তকে পেরিয়ে আছে সত্যম। অর্থাৎ, যা-কিছু দেখছি তাকে সম্ভব করে আছে একটি না-দেখা পদার্থ। E | কেন, তাকে দেখি নে কেন ? কেননা, সে যে কিছুর সঙ্গে স্বতন্ত্র হয়ে দেখা দেবার নয় । সমস্ত স্বতন্ত্রকে আপনার মধ্যে ধারণ করে সে যে এক হয়ে আছে। সে যদি হত একটি তা হলে তাকে নানা বস্তুর এক প্রাস্তে কোনো-একটা জায়গায় দেখতে পেতুম । কিন্তু, সে যে হল ‘এক’, তাই তাকে অনেকের অংশ করে বিশেষ করে দেখবার জো রইল না । - * n - 2 এত বড়ো আবিষ্কার মানুষ আর কোনোদিন করে নি। এটি \రిJ9:R
পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৭৩
অবয়ব