বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একটি মন্ত্র . তারা আপনাকে বেঁধে আড়ষ্ট হয়ে পড়ে আছে । । যদি জানতে চাই মাহুষের বুদ্ধিশক্তিটা কী তবে কোনখানে তার সন্ধান করব ? যেখানে মানুষের গণনাশক্তি চিরদিন ধরে পাচের বেশি আর এগোতে পারলে না, সেইখানে ? যদি জানতে চাই মামুষের ধর্ম কী তবে কোথায় যাব ? যেখানে সে ভূতপ্রেতের পূজা করে, কাষ্ঠলোষ্ট্রের কাছে নরবলি দেয়, সেইখানে ? না, সেখানে নয় । কেননা, সেখানে মানুষ বাধা পড়ে আছে । সেখানে তার বিশ্বাসে, তার আচরণে সম্মুখীন গতি নেই। চলার দ্বারাই মানুষ আপনাকে জানতে থাকে, কেননা চলাই সত্যের ধর্ম । যেখানে মানুষ চলার মুখে সেইখানেই আমরা মানুষকে স্পষ্ট করে দেখতে পাই ; কেননা, মানুষ সেখানে আপনাকে বড়ো করে দেখায়— যেখানে আজও সে পৌছোয় নি সেখানটিকেও সে আপনার গতিবেগের দ্বারা নির্দেশ করে দেয়। তার ভিতরকার সত্য তাকে চলার দ্বারাই জানাচ্ছে যে, সে যা তার চেয়ে সে অনেক বেশি । d তবেই দেখতে পাচ্ছি সত্যের সঙ্গে সঙ্গে একটি জানা লেগে আছে । আমাদের যে বিকাশ সে কেবল হওয়ার বিকাশ নয়, সে জানার বিকাশ । হতে থাকার দ্বারা, চলতে থাকার দ্বারাই আপনাকে আমরা জানতে থাকি । _ সত্যের সঙ্গে সঙ্গেই এই জ্ঞান লেগে রয়েছে, সেইজন্তেই মন্ত্রে আছে ‘সত্যং জ্ঞানং’ । অর্থাৎ, সত্য যার বাহিরের বিকাশ জ্ঞান তার অন্তরের প্রকাশ । ষে সত্য কেবলই হয়ে উঠছে মাত্র, অথচ সেই হয়ে-ওঠা আপনাকেও জানছে না, কাউকে কিছু জানাচ্ছেও না, তাকে আছে বলাই যায় না। আমার মধ্যে জ্ঞানের আলোটি যেমনি জলে আমনি \eఆమె αφ"Τ ૨8