বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

iাস্তিনিকেতন আমাদের মন্ত্রের শেষ বাক্যটি হচ্ছে ঃ অনন্তং ব্রহ্ম ৷ মানুষ আপনার সত্যের অনুভবে সত্যকে সর্বত্র দেখছে, আপনার জ্ঞানের আলোকে জ্ঞানকে সর্বত্র জানছে, তেমনি আপনার আনন্দের মধ্যে মানুষ অনন্তের যে পরিচয় পেয়েছে তারই থেকে বলেছেঃ অনন্তং ব্রহ্ম। কোথায় সেই পরিচয় ? আমাদের মধ্যে অনন্ত সেখানেই যেখানে আমরা আপনাকে দান করে আনন্দ পাই । দানের দ্বারা যেখানে আমাদের কেবলমাত্র ক্ষতি সেইখানেই আমাদের দারিদ্র্য, আমাদের সীমা, সেখানে আমরা কৃপণ। কিন্তু, দানই যেখানে আমাদের লাভ, ত্যাগই যেখানে আমাদের পুরস্কার, সেখানেই আমরা আমাদের ঐশ্বৰ্ষকে জানি, আমাদের অনন্তকে পাই । যখন আমাদের সীমারূপী অহংকেই আমরা চরম বলে জানি তখন কিছুই আমরা ছাড়তে চাই নে ; সমস্ত উপকরণকে তখন দু হাতে অঁাকড়ে ধরি ; মনে করি বস্তুপুঞ্জের যোগেই আমরা সত্য হব, বড়ো হব । আর, যখনই কোনো বৃহৎ প্রেম বৃহৎ ভাবের আনন্দ আমাদের মধ্যে জেগে ওঠে তখনই আমাদের কৃপণত! কোথায় চলে যায়। তখন আমরা রিক্ত হয়ে পূর্ণ হয়ে উঠি, মৃত্যুর দ্বারা অমৃতের আস্বাদ পাই । এইজন্য মানুষের প্রধান ঐশ্বর্যের পরিচয় বৈরাগ্যে, আসক্তিতে নয় ; আমাদের সমস্ত নিত্যকীর্তি বৈরাগ্যের ভিত্তিতে স্থাপিত। তাই মানুষ বলেছে ; ভূমৈব মুখম্। ভূমাই আমার স্থখ। ভূমাত্বেব বিজিজ্ঞাসিতব্যঃ । ভূমাকেই আমার জানতে হবে। নাল্পে স্বখমস্তি । অল্পে আমার মুখ নেই। এই ভূমাকে মা যখন সস্তানের মধ্যে দেখে তখন তার আর আত্মস্থখের লালসা থাকেন । এই ভূমাকে মানুষ যখন স্বদেশের মধ্যে দেখে তখন তার আর আত্মপ্রাণের মমতা থাকে না । যে সমাজ אף ס\