শাস্তিনিকেতন ॐडॉनपध नभ्रं । * ! আবার যারা জীবনের সত্যের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন করে অনস্তকে কর্মহীন সন্ন্যাসের মধ্যে উপলব্ধি করতে কিম্বা ভাবরসের মাদকতায় উপভোগ করতে চায় তাদেরও এই ধ্যানের কিম্বা রসের সাধনা বন্ধ্যা। তাদের চেষ্টা হয় শূন্তকেই দোহন করতে থাকে, নয় নিজের কল্পনাকেই সফলতা বলে মনে করে । যাদের জীবন সত্যের চিরবিকাশ-পথে চলছে না, কেবল শূন্যতাকে বা রসভোগবিহ্বল নিজের মনটাকেই বারে বারে প্রদক্ষিণ করছে, তাদের সেই অন্ধ সাধন হয় জড়ত্ব নয় প্রমত্ততা । ‘সত্যং জ্ঞানমনস্তং ব্ৰহ্ম’ এই মন্ত্রটিকে যদি গ্রহণ করি তবে আমাদের মনকে প্রবৃত্তির চাঞ্চল্য ও অহংকারের ঔদ্ধত্য থেকে নির্মক্ত করবার জন্যে একাস্ত চেষ্টা করতে হবে ; তা না হলে আমাদের কর্মের কলুষ এবং জ্ঞানের বিকার কিছুতেই ঘুচবে না। আমাদের যে অহং আজ মাথা উচু করে আমাদের সত্য এবং অনস্তের মধ্যে ব্যবধান জাগিয়ে অজ্ঞানের ছায়া ফেলে দাড়িয়ে আছে সে যখন প্রেমে বিনম্র হয়ে তার মাথা নত করতে পারবে তখন আমাদের জীবনে সেই অহংই হবে সসীম ও অসীমের মিলনের সেতু ; তখন আমাদের জীবনে তারই সেই নম্রতার উপরে প্রতিষ্ঠিত হবে ‘সত্যং জ্ঞানমনস্তং ব্ৰহ্ম’ । যখন সুখদুঃখের চাঞ্চল্য আমাদের অভিভূত করবে তখন এই শাস্তিমন্ত্র স্মরণ করতে হবে : সত্যং জ্ঞানমনস্তং ব্রহ্ম । যখন মান অপমান তরঙ্গদোলায় আমাদের ক্ষুব্ধ করতে থাকবে তখন এই মঙ্গলমন্ত্র স্মরণ করতে হবে : সত্যং জ্ঞানমনস্তং ব্রহ্ম । যখন কল্যাণের আহবানে দুর্গম পথে প্রবৃত্ত হবার সময় আসবে তখন এই অভয়মন্ত্র স্মরণ করতে হবে : সত্যংজ্ঞানমনস্তং ব্ৰহ্ম -মথন ৰাধী প্রবল হয়ে উঠে সেই পথ রুদ্ধ করে দাড়াবে, তখন రిటి
পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৮৭
অবয়ব