র্তার কাছে সেই মুক্তির দীক্ষা নেব বলেই আমরা আশ্রমে এসেছি। ঈশ্বরের সঙ্গে যে আমাদের স্বাধীন মুক্ত যোগ সেইটে আমরা এখানে উপলব্ধি করব ; যে-সব কাল্পনিক কৃত্রিম ব্যবধান তার সঙ্গে অামাদের যোগ হতে দিচ্ছে না তার থেকে আমরা মুক্তি লাভ করব । যেটা কারাগার তার পিঞ্জরের প্রত্যেক শলাকাটি যদি সোনার শলাকা হয় তবু সে কারাগার, তার মধ্যে মুক্তি নেই। এখানে আমাদের সকল কৃত্রিম বন্ধন থেকে মুক্তি পেতে হবে। এখানে মুক্তির সেই দীক্ষা নেবার জন্য আমাদের প্রস্তুত হতে হবে । সেই দীক্ষণটিই যে তিনি আমাদের জন্য রেখে গেছেন । 蟲影 তাই আমি বলছি যে, এ আশ্রম— এখানে কোনো দল নেই; সম্প্রদায় নেই। মানস-সরোবরে যেমন পদ্ম বিকশিত হয় তেমনি এই প্রাস্তরের আকাশে এই আশ্রমটি জেগে উঠেছে, একে কোনো সম্প্রদায়ের বলতে পারবে না । সত্যকে লাভ করবার দ্বারা আমরা তো কোনো নামকে পাই না । কতবার কত মহাপুরুষ এসেছেন— র্তারা মানুষকে এই-সব কৃত্রিম সংস্কারের বন্ধন থেকেই মুক্তি দিতে চেয়েছেন। কিন্তু, আমরা সে কথা ভুলে গিয়ে সেই বন্ধনেই জড়াই, সম্প্রদায়ের স্বাক্ট করি। যে সত্যের আঘাতে কারাগারের প্রাচীর ভাঙি তাই দিয়ে তাকে নতুন নাম দিয়ে পুনরায় প্রাচীর গড়ি এবং সেই নামের পুজো শুরু করে দিই। বলি, আমার বিশেষ সম্প্রদায়ভুক্ত সমাজভুক্ত যে-সকল মানুষ তারাই আমার ধর্মবন্ধু, তারাই আমার আপন । না, এখানে এ আশ্রমে আমাদের এ কথা বলবার কথা নয় । এখানে এই পাখিরাই আমাদের ধর্মবন্ধু, ধে সাওতাল বালকের \©oß
পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৯৫
অবয়ব