বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিনিকেতন আশা । আমরা এই মুক্তির সরোবরে স্বান করে আনন্দিত হই, সমস্ত সম্প্রদায়ের বন্ধন থেকে নিষ্কৃতি লাভ করে আনন্দিত হই। ৭ পৌষ ১৩২০ প্রতীক্ষা কতদিন নিভৃতে এখানে তার নাম শুনেছি। আজ এই জনকোলাহলে তারই নাম ধ্বনিত হচ্ছে— অস্ফুট কলোচ্ছ্বাসে এই নিঃশব্দ নিস্তব্ধ সন্ধ্যাকাশকে মুখরিত করে তুলছে। এই কোলাহলের ধ্বনি র্তাকে চারি দিকে বেষ্টন করে উঠেছে । আজ অন্তরে অস্তরে জাগ্রত হয়ে অন্তর্যামীকে বিরলে স্মরণ করবার দিন নয়— সংসারতরণীর কর্ণধার হয়ে যিনি সবাইকে নিয়ে চলেছেন, আজ তাকে দেখবার দিন । অন্যদিন আকাশের গ্ৰহতারাকে বলগার দ্বারা সংযত করে বিচিত্র বিশ্বরথকে একাকী সেই সারথি নিয়ে গেছেন— রথচক্রের শব্দ ওঠে নি, রাত্রির বিরামের কিছুমাত্র ব্যাঘাত করে নি। আজ নিদ্রা দূর হয়েছে, পাখিরা কুলায়ে সন্ত্রস্ত হয়ে উঠেছে। এই কোলাহলে যিনি শাস্তং শিবমদ্বৈতম তিনি স্থিরপ্রতিষ্ঠ হয়ে রয়েছেন। কোলাহলের মর্মে যেখানে নিস্তব্ধ তার আসন আজ আমরা সেইখানেই তাকে প্রণাম করবার জন্য চিত্তকে উদবোধিত করি । আমাদের উৎসব-দেবতা কোলাহল নিরস্ত করেন নি, তিনি মান করেন নি। তার পূজা তিনি সব-শেষে ঠেলে রেখেছেন। যখন রাজা আসেন তখন কত আয়োজন করে আসেন, কত সৈন্যসামস্ত নিয়ে ধ্বজ উড়িয়ে আসেন, যাতে লোকে তাকে না মেনে থাকতে না পারে। \ご*Vり d 4