বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

iাস্তিনিকেতন না, তারই জন্য তিনি যুগ যুগান্তর ধরে অপেক্ষা করে রয়েছেন । এমনি নিৰ্ভয়ে যে মানুষ তাকে দেখতে না পেয়ে গোল করছে, এতেও তিনি ধৈর্য ধরে বসে আছেন । এতে র্তার কোনোই ক্ষতি নেই। কিন্তু, এতে কার ক্ষতি হচ্ছে ? ক্ষতি হচ্ছে মানবাত্মার । আমরা জানি না আমাদের অস্তরে এক উপবাসী পুরুষ সমস্ত পদমর্যাদার মধ্যে ক্ষুধিত হয়ে রয়েছে। বিষয়ী লোকের, জ্ঞানাভিমানী লোকের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না, কিন্তু ক্ষতি হচ্ছে তার । কবে শুভদিন হবে, কবে মোহরাত্রির অবসান হবে, কবে আনন্দে বিহঙ্গেরা গান ধরবে, কবে অৰ্ঘ্য ভরে উঠবে ? এই-যে বিশাল বস্থঙ্করায় আমরা জন্মলাভ করেছি, সমস্ত চৈতন্য নিয়ে, জ্ঞান নিয়ে কবে এই জন্মলাভকে সার্থক করে যেতে পারব ? সেই সার্থকতার জন্যই যে তৃষিত হয়ে অন্তরাত্মা বসে আছে । কিন্তু, ভয় নেই, কোথাও কোনো ভয় নেই । কারণ, যদি ভয়ের কারণ থাকত তবে তিনি উদবোধিত করতেন । তিনি বলছেন, ‘আমি তো জোর করে চাই নে, যে ভুলে আছে তার ভুল একদিন ভাঙবে ।’ ইচ্ছা করে তার কাছে আসতে হবে, এইজন্যে তিনি তাকিয়ে আছেন । তার ইচ্ছার সঙ্গে ইচ্ছাকে মেলাতে হবে । আমাদের অনেক দিনের সঞ্চিত ক্ষুধা নিয়ে একদিন তাকে গিয়ে বলব, ‘আমার হল না, আমার হৃদয় ভরল না।’ যেদিন সত্য করে চাইব সেদিন জননী কোলে তুলে নেবেন। কিন্তু, এ ভুল তবে রয়েছে কেন ? আমাদের এই ভুলের মধ্যেই যে তার উপাসনা হচ্ছে । এরই মধ্যে যিনি সাধক তিনি র্তার সাধনা নিয়ে রয়েছেন । যাদের উপরে তার ডাক গিয়ে পৌচেছে সেই-সকল ভক্ত র্তার অঙ্গনের কোণে বসে তাকে ধ্যান করছেন ; তাকে ছাড় ○ケセ