বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অগ্রসর হওয়ার আহবান আবদ্ধ করেছে সেখানে যে ধর্ম তাকে মুক্তি দেবে সেই ধর্মই তার বন্ধন হয়েছে। যুরোপে ধর্ম যেখানে তাকে বেঁধেছে , সেইখানেই মুক্তির জন্য যুরোপ ক্ৰন্দন করছে। ‘অনওজার্ড ক্রাই’ মাহুষের ক্রাই। 豐 আজকে র্যার দীক্ষার সাম্বৎসরিকে আমরা এসেছি তিনি আনওয়ার্ড ক্রাই শুনতে পেয়েছিলেন । যে সময়ে আমাদের দেশে ধর্মকে সমাজকে চারি দিক থেকে নানা আচার ও প্রথার বন্ধনে বেঁধেছিল, তাকে সংকীর্ণ করে রুদ্ধ করে রেখেছিল, সেই সময়ে তিনি এই আহবান শুনে জেগে উঠলেন। চারি দিকের এই রুদ্ধতা, এই বেড়াগুলো, র্তাকে অত্যন্ত বেদন দিয়েছিল । তিনি যখন আকাশে উড়তে চেয়েছিলেন তখন পিঞ্জরের প্রত্যেকটি শলাকা তাকে আঘাত করেছিল । তিনি জীবনকে প্রতিদিন অগ্রসর করবেন, প্রতিদিন অনন্তের আস্বাদ আপনার ভিতর থেকে পাবেন, তার এই আকাঙ্ক্ষা সেদিনকার সমাজে বড়োই দুর্লভ ছিল । সকলেই নিজ নিজ প্রচলিত অভ্যাসে তৃপ্ত ছিল। এই ৭ই পৌষের দিন তিনি তার দীক্ষার আহবান শুনেছিলেন । সে আহবান এই মন্ত্রটি : ঈশাবাস্তমিদং সৰ্বম্। দেখে, র্তার মধ্যে সব দেখো । এই আহবান, এই দীক্ষামন্ত্ৰই তো এই আশ্রমের মধ্যে রয়েছে। উপনিষদের এই মন্ত্র, এ কোনো বিশেষ সম্প্রদায়ের নয়, এ কোনো বিশেষ সম্প্রদায়কে স্বষ্টি করে না। এ বাণী দেশে দেশান্তরে নির্বরধারার মতো যুগে যুগে প্রবাহিত হয়ে চলতে থাকবে । দেখো, তার মধ্যে সব দেখো । সেইজন্য আজ আমাদের বিশেষভাবে চিন্তা করে দেখতে হবে যে, মহৰ্ষির জীবনের শ্রেষ্ঠ বিকাশ সমাজে হয় নি, তা এ আশ্রমে হয়েছিল। বিশেষ সমাজের সঙ্গে তিনি দীর্ঘকাল সংযুক্ত ছিলেন বটে, কিন্তু সেই ssA