শাস্তিনিকেতন আমরা প্রত্যেকে পাশের লোককে আঘাত করছি ও আঘাত পাচ্ছি — সেই প্রত্যেক আমির ক্রন্দনধ্বনি একটা ভয়ানক বিশ্বযজ্ঞের মধ্যে সকল মানুষের প্রার্থনা-রূপে রক্তশ্রোতে গৰ্জিত হয়ে উঠেছে । মা মা হিংসীঃ । মরছে মানুষ, বাচাও তাকে । কে বাচাবে ? পিতা নোহসি । তুমি যে আমাদের সকলের পিতা, তুমি বঁাচাও । তোমার বোধের দ্বারা বাচাও । তোমাকে সকল মানুষ মিলে যেদিন নমস্কার করব সেই দিন নমস্কার সত্য হবে। নইলে ভূলুষ্ঠিত হয়ে মৃত্যুর মধ্যে যে নমস্কার করতে হয় সেই মৃত্যু থেকে বাচাও। দেশদেশাস্তরে তোমার যত যত সস্তান আছে, হে পিতা, তুমি প্রেমে ভক্তিতে কল্যাণে সকলকে একত্র করো তোমার চরণতলে নমস্কার সর্বত্র ব্যাপ্ত হোক । দেশ থেকে দেশান্তরে, জাতি থেকে জাতিতে ব্যাপ্ত হোক। বিশ্বানি দুরিতানি পরাম্বব । বিশ্বপাপের যে মূর্তি আজ রক্তবর্ণে দেখা দিয়েছে সেই বিশ্বপাপকে দূর করো। মা মা হিংসীঃ । বিনাশ থেকে রক্ষা করো । ২০ শ্রাবণ ১৩২১ পাপের মার্জন আমাদের প্রার্থনা সকল সময়ে সত্য হয় না, অনেক সময়ে মুখের কথা হয়— কারণ, চারি দিকে অসত্যের দ্বারা পরিবৃত হয়ে থাকি বলে আমাদের বাণীতে সত্যের তেজ পৌছোয় না। কিন্তু, ইতিহাসের মধ্যে, জীবনের মধ্যে, এমন এক-একটি দিন আসে যখন সমস্ত মিথ্যা এক মুহূর্তে দগ্ধ হয়ে গিয়ে এমনি একটি আলোক জেগে ওঠে যার 8 е 8
পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪১৫
অবয়ব