পাপের মার্জনা সামনে সত্যকে অস্বীকার করবার উপায় থাকে না। তখনই এই কথাটি বারবার জাগ্রত হয় : বিশ্বানি দেব সবিতরুক্কুরিতানি পরাস্কব । হে দেব, হে পিতা, বিশ্বপাপ মার্জনা করে । আমরা তার কাছে এ প্রার্থনা করতে পারি না ‘আমাদের পাপ ক্ষমা করো’ ; কারণ, তিনি ক্ষমা করেন না, তিনি সহ করেন না । তার কাছে এই প্রার্থনাই সত্য প্রার্থনা, তুমি মার্জনা করো। যেখানে যতকিছু পাপ আছে, অকল্যাণ অাছে, বারম্বার রক্তস্রোতের দ্বারা, অগ্নিবৃষ্টির দ্বারা সেখানে তিনি মার্জন করেন। যে প্রার্থনা ক্ষমা চায় সে দুর্বলের ভীরুর প্রার্থনা ; সে প্রার্থনা তার দ্বারে গিয়ে পৌছোবে না। আজ এই-যে যুদ্ধের আগুন জলেছে এর ভিতরে সমস্ত মানুষের প্রার্থনাই কেঁদে উঠেছে ; বিশ্বানি দুরিতানি পরাস্কব । বিশ্বপাপ মার্জনা করো। আজ যে রক্তস্রোত প্রবাহিত হয়েছে সে যেন ব্যর্থ না হয়। রক্তের বন্যায় যেন পুঞ্জীভূত পাপ ভাসিয়ে নিয়ে যায়। যখনই পৃথিবীর পাপ শু,পাকার হয়ে উঠে তখনই তো তার মার্জনার দিন আসে। আজ সমস্ত পৃথিবী জুড়ে যে দহনযজ্ঞ হচ্ছে তার রুদ্র আলোকে এই প্রার্থনা সত্য হোক : বিশ্বানি দুরিতানি পরাস্কব । আমাদের প্রত্যেকের জীবনের মধ্যে আজ এই প্রার্থনা সত্য হয়ে উঠুক। আমরা প্রতিদিন সংবাদপত্রে টেলিগ্রাফে যে একটু-আধটু খবর পাই তার পশ্চাতে কী অসহ সব দুঃখ রয়েছে আমরা কি তা চিন্তা করে দেখি ? যে হানাহানি হচ্ছে, তার সমস্ত বেদনা কোনখানে গিয়ে লাগছে ? ভেরে দেখো কত পিতামাতা তাদের একমাত্র ধনকে হারাচ্ছে, কত স্ত্রী স্বামীকে হারাচ্ছে, কত ভাই ভাইকে হারাচ্ছে । এইজন্যই তো পাপের আঘাত এত নিষ্ঠুর ; কারণ, যেখানে বেদনাবোধ so t
পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪১৬
অবয়ব