আবির্ভাব । তুমি যে এসেছ মোর ভবনে । আশ্চর্য কথা এই যে, আমরা এই গানে বলছি যে ‘তুমি জামার ভূবনে.অতিথি হয়ে এসেছ । এই একটি কথা বলবার অধিকার তিনি আমাদের দিয়েছেন। যিনি বিশ্বভুবনের সব জায়গা জুড়ে বসে আছেন তাকেই আমরা বলছি, ‘তুমি আমার ভবনে অতিথি। . কারণ, আমার ভবনে তাকে ডাকবার এবং না ডাকবার অধিকার তিনিই আমাকে. দিয়েছেন। তাই সেই সৰ্বর্যাপী ঈশ্বরকে ইচ্ছা করলে জীবনে কত অল্প দিন আমরা সেই বন্ধুকে ঘরে ডেকে আনি— তাকে আমার ভবনে ডাকব এমন দিন তো আসে না। তিনি এই ঘরের প্রাস্তেই মুখ আবৃত করে বসে থাকেন— অপেক্ষা করেন, “দেখি জামায় ডাক দেয় কি না । তিনি আমার ঘরের সামান্য আসবারটি পর্যন্ত প্রকাশ করছেন, তিনি সর্বপ্নরে সর্ববিষয়ের মধ্যে প্রকাশ পাচ্ছেন, অথচ তিনিই ঘরে নেই। প্রত্যেক নিশ্বাসের ওঠানামায় তার শক্তি, কথা নিরস্তর ধাবিত হচ্ছে-- অথচ আমাদের এত বড়ো আম্পধর্ম তিনি ; দিলেন ষে, আমরা নাড়াকলে তিনি ঘরে প্রবেশ করবেন না। : ; প্রেমের ডাকে তাকে ডাকি, সেদিন বিশ্বভুবনে - বব ওঠে তিনি এসেছেন। স্বর্ষের তরুণ আলোকে সেই বাণী প্রকাশ হয় নক্ষত্র হতে 8२२ 党名3
পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৩৩
অবয়ব