এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অমল হাসির ফুল ফোটানো
ঘর ছাপিয়ে উপচে পড়ে কলহাস্য
ঘরের ভিতর নিকষ কালো অন্ধকারে—
কারা হাসে? বাইরে থেকে যায়না দেখা
কজন তারা? গেরস্থালী কেমন তাদের?
নিতান্ত সে আষ্টপৌরে ঘরকন্যা
খোড়োচালের সামান্য ঘর, মাটির দেয়াল,
ভাঙাচোরা বাসন-কোসন জড়ো করা—
মাটির দাওয়ায়, কূয়োতলায় বালতি দড়ি।
চাঁদের আলোয় বাইরে থেকে দাঁড়িয়ে দেখি
নিতান্ত এই আষ্টপৌরে ঘর ছাপিয়ে
সব দুঃখের বেড়া ভেঙে উপচে পড়ে
অমল সুখের ফুল ফোটানোর বিমল হাসি!
নিজস্ব এক স্বপ্ন
ভাবতে কি দোষ? এখন আমি রাজেন্দ্রানী
এটা আমার নিজস্ব এক স্বপ্ন প্রদোষ,
এই প্রদোষে লক্ষ হীরার সিংহাসনে
রাজদণ্ড হস্তে বসে বীরেন্দ্রানী!
একটি মাত্র মন্ত্রে এখন উড়িয়ে দেবে।
আসমুদ্র হিমাচলের যত ধূলো
ধুলোই হবে সোনা, সোনার বৃষ্টি হবে।
কারণ, এটা আমারই এক স্বপ্ন-প্রদোষ।
১৫