পাতা:শান্তিলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দুপুরে আত্মীয়বন্ধু কয়েকজনকে খেতে বলা হয়েছিল। কুমারের বিদেশ যাত্রার প্রসঙ্গ নিয়ে গল্পগুজব করতে করতে বেলা বাড়ে । যারা স্নান করে আসেনি তারা একে একে সুনি সেরে নেয় । সকলের শেষে যায় কুমার। অনেকক্ষণ কেটে যায়, কুমার আর বেরোয় না। নলিনী বাইরে থেকে জিজ্ঞাসা করে : —তোর এত দেরি হচ্ছে কেন রে ? কুমারের সাড়া মেলে না। দরজা ভাঙা হয়। দেখা যায়, কুমার মেঝেতে পড়ে আছে। সর্বাঙ্গে সাবানের ফেনা, মাথা থেকে রক্ত চুইয়ে চুইয়ে পড়ে গড়িয়ে যাচ্ছে। নিমন্ত্রিতদের মধ্যেই একজন আত্মীয় ছিল ডাক্তার। রক্ত বন্ধের ব্যবস্থা করতে করতে সে জানায় যে আঘাত মারাত্মক নয়, কিন্তু বড় বেশী রক্তক্ষয় হয়ে গেছে।--তাড়াতাড়ি রক্ত দেবার ব্যবস্থা করতে হবে । রক্ত চাই । রক্ত ৷ পাত করার রক্ত নয়, ক্ষয় করার রক্ত নয়, মানুষের প্রাণ বঁাচানোর রক্ত । নলিনী আতকণ্ঠে বলে : —আমি রক্ত দেব। আমার সমস্ত রক্ত দেব। ডাক্তার আত্মীয় বলে : -ऊ°नि *रु 6शन !