পাতা:শান্তিলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টার্নার সুখেন্দু। জড় ধাতুখণ্ডকে ঘষে মাজে, গড়ে পেটেনিরবয়ব পিণ্ড রূপ পায়, আকার পায়। সুখেন্দুর মস্তিষ্কের নির্দেশে আর হাতের তাড়নায় ধাতু বস্তু হয়ে ওঠে, যন্ত্র হয়ে ওঠে, গতির প্রতীক। আর সৃষ্টির সহায় । আপসোস জমা হয়ে ছিল সুখোন্দুর। ভদ্রলোক মালিক হবার নেশা চেপেছিল তার । আরও এক উগ্ৰ নেশায় সে নেশা অবশ্য ঝিমিয়ে পড়েছিল শান্তিলতার সুঠাম দেহকে পাবার নেশা। আপোস করতে হয়েছিল। কিন্তু রাগ মরে নি। শান্তিলতাও সে রাগের জড় মারতে পারে নি। ইয়াকুবের কথায় তার রাগ পড়েছিল। — ভাই, কাজের মানুষের চেয়ে বড় কে ? কাজ না হলে সংসার বঁাচে ? আমাদের হাতেই সংসার চলছে। ঠিক কি না (可可(死外1 এ তল্লাটের পাকা টার্নার তুমি। তোমার মতো দেমাক কার ? এ কারখানা ও কারখানা থেকে প্ৰায়ই তোমার ডাক পড়ে। তুমি এ কারখানা ছেড়ে যেতে চাও না। কেন ? এদের তুমি ভালোবাস, এরা সব তোমাকে ভালোবাসে। তোমার মতো সুখ কার বলে ? মিছে আপসোস ছাড়ো সুখেন্দু ভাই। সুখেন্দু আপসোস ছেড়েছে। br8