পাতা:শান্তিলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ক্রমেই তা মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পেয়ে বসে। ‘টিকটিকি’ ( মিহি ও মোটা কাহিনী, ১৯৩৮) প্রভৃতি ছোটোগল্পে তা ক্রমেই শ্বাসরোধী একটা আবহাওয়া সৃষ্টি করে করে চলে, চতুষ্কোণের (১৯৩৮) মতো উপন্যাসে পৰ্যন্ত সেই যৌনপ্ৰবৃত্তির বিকৃত বিস্তার দেখতে পাওয়া যায়। অবশ্য তার পুবেই এই দ্বিতীয় অধ্যায়ের চাপা অন্ধকার থেকে মানিক বন্দোপাধ্যায় আত্ম্যোদ্ধারের পথ সন্ধান করছিলেন। সে পথ তিনি বুদ্ধি দিয়ে হৃদয় দিয়ে আবিষ্কার করেন মার্কস DB BDDBBDBSDiD DD BB yyDD SDB KDBD DDD KKD ছিল না-এবং শেষ পর্যন্তও এই প্ৰতিভা সে পথে তাকে স্বচ্ছন্দ পদে চলতে সহায়তা করে নি। ‘সমুদ্রের স্বাদ’ (১৯৪৩) প্রভৃতি গল্পের সময় থেকেই মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই নৃতন পথের সন্ধান সম্ভবত আরম্ভ হয়। ‘সমুদ্রের স্বাদ' দুঃখাবাদে করুণ হলেও জীবন-সম্বন্ধে নৈরাশ্যেরই সূচক। 'বৌ’ (১৯৪৩) ও ‘ভেজালে’র (১৯৪৪) অধিকাংশ গল্পও সেই জীবন-বিরূপ প্ৰতিভারই সৃষ্টি ৷ ‘দৰ্পণে সেই নব প্ৰয়াস ও বিরূপ-চেতনার বঁাকা-চোরা প্ৰতিলিপিই পড়েছে।” এই সুদীর্ঘ সংগ্রামে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় জয়ী হয়ে নিক্সক্লান্ত হবেন, এমন সম্ভাবনা হয়তো ছিল না। কারণ র্তার প্রতিভা এই নূতন ধর্মকে গ্ৰহণ করতে পারে না। তথাপি র্তার শক্তির স্বাক্ষর, অদ্ভূতশিল্পী-কুশলতা নানা গ্রন্থেই দেখা গিয়াছে। এক-একবার মনে হয়েছে হয়তো প্ৰতিভাকে তিনি এবার কবলিতে করতে পারলেন,-যেমন, কোথাও কোথাও “আজি-কাল-পরশুর গল্পে” (১৯৪৬), ‘পরিস্থিতি'তে (১৯৪৬), ‘চিহ্ন’ উপন্যাসে (১৯৪৭) 'ছোট বকুলপুরের যাত্রী’তে (১৯৪৯), ‘সোনার চেয়ে দামী'র প্রথম ভাগে (১৯৫১) “পাশাপাশি’ উপন্যাসে (১৯৫২) “হরফ’ উপন্যাসে (১৯৫৪) “মাশুল’ উপন্যাসে (১৯৫৬) এবং এরূপ আরও অনেক লেখায়। কিন্তু তার ক্ষয়িষ্ণু দেহে ও ক্ষীয়মান প্ৰাণ সমস্ত সম্ভাবনা ও সংগ্ৰাম সমাপ্ত করে অবশেষে অকালেই নিবাপিত হয়ে গেল।