পাতা:শান্তিলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিলতার বাবা চন্দ্রনাথেরও মরণ ঘটেছিল ওইভাবে। " চিকিৎসা চালাবার চেষ্টা । সেই সঙ্গে চিকিৎসা বাতিল করার অপচেষ্টা । কী করবে ভেবে পায় নি ডাক্তার। মারবে জানা কথাই। যথাসময়ে যথানিয়মে মানুষ মরবে, সেটা ঠেকাবার সাধ্য কারও নেই। আরও তিন-চার বছর বঁচিয়ে রাখতে পারত। সেটা সম্ভবপর दT०iद्ध । অর্ধেন্দু সে-ই চেষ্টাই করেছিল। ইনজেকশন দিয়েছিল একুশটা। তবু চন্দ্ৰনাথ মরে গেল, হার্টফেল করে। অর্ধেন্দু ছুটে আসে। মৃতদেহটা পরীক্ষা করে। বলে, ব্যাপার তো ঠিক বুঝতে পারছি না। হার্ট তো ভালোই gनाश शिछिलाभ। শান্তিলতা বলে, চালেই তো যেতেন-কেবল দু-এক বছর আগে-পরের ব্যাপার। অর্ধেন্দু বলে, না। দু-এক বছর বঁচিয়ে রাখাই আমাদের কাজ। হঠাৎ কেন হার্টফেল হল বুঝতে পারছি না। বুঝতে না পারার দোষটা আমার ।