পাতা:শান্তিলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মনে হয় বিমল কিছু একটা ভাবছে। নানান কথা ভাবছে । নানান ভাবের মেশালে সে মুখের রূপ অবর্ণনীয়। কারণ মেশাল ভাবের তন্ময়ত, তুলির টানে রঙের গুণে ফোটানো গেলেও, কথায় ७क १ या न । কিছুক্ষণ পরে আবার পড়ার টেবিলে গিয়ে বসে বিমল ৷ ইতিহাসের বইখানা যত্ন করে তুলে রেখে র্যাক থেকে আর-একখানা বই পেড়ে নিয়ে বসে-বঙ্কিমচন্দ্রের ‘আনন্দমঠ”। পাতা উলটে চেচিয়ে চেচিয়ে মন্বন্তরের বর্ণনা পড়তে আরম্ভ दt :

  • ১১৭৬ সালে গ্রীষ্মকালে একদিন পদচিহ্ন গ্রামে রৌদ্রের উত্তাপ বড় প্রবল। গ্রামখানি গৃহময় কিন্তু কোন লোক দেখি না। বাজারে সারি সারি দোকান, হাটে সারি সারি চালা, পল্লীতে পল্লীতে শত শত মৃন্ময় গৃহ, মধ্যে মধ্যে উচ্চ অট্টালিকা ৷ আজি সব নীরব।”

KDS KDDBS BB DD BBD BDDS DDB DSS BDD নিভিয়ে দেয়। হাতের মুঠোয় গরাদ দুটো ধরে কালিঢাকা আকাশের দিকে চেয়ে থাকে। শান্তিলতার জানলা থেকে আকাশের সরু একটা ফালি ছাড়া আর কিছু দেখা যায় না । বিমলের জানলার আকাশ তার চেয়ে অনেক বড়ো ।