পাতা:শান্তিলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিজ্ঞান অবশ্য বলে দিতে পারে কেন এ রকম ঘটে। নীচু দরজাটার কাছে হাজারবার মাথাটা নত হলেও কেন একদিন হঠাৎ অভ্যস্ত মাথাটা ঠোকর খেয়ে বসে, বছরের পর বছর দুদিকে তাকিয়ে ফুটপাথ থেকে রাস্তায় নামাটা ধাতে দাড়িয়ে গেলেও কেন সেই মানুষটাই একদিন হঠাৎ এভাবে চলন্ত গাড়ির স্রোতের মধ্যে নেমে যায়। বাস্তব ব্যাখ্যা আর বিশ্লেষণ বলে দিতে পারে বলে তথাকথিত ভুলের জন্য অথবা দোষের জন্য যে সব দুর্ঘটনা ঘটে সেগুলি ঠেকাবার উপায়ও বিজ্ঞান বলে দিতে পারে। কিন্তু শুনছে কে ? মস্ত সেলুন গাড়িটা যেভাবে আসছিল তাতে মেয়েটিকে মেরে ফেলতে পারত। কারো কিছু বলার থাকত না। পিছনে গাড়ি, পাশে গাড়ি-এ অবস্থায় আত্মহত্যা করার জন্য কেউ যদি এভাবে চলন্ত গাড়ির ঠিক সামনে এসে দাড়ায়, প্ৰাণপণ ব্রেক কষেও গাড়িটা থামাবার সময় বা ফাক না রাখে, তাকে চাপা দেবার অধিকার নিশ্চয় সে লোকের আছে । কিন্তু গাড়িও কিনা মানুষ চালায় এবং জগতে এত সমারোহের সঙ্গে ছোট এবং বিরাট স্কেলে মানুষ মারা হয়ে থাকলেও মানুষকে বঁাচাতে চাওয়াটাই ধাত কিনা মানুষের, দুর্ঘটনা তাই হয়ে দাড়ায় অন্য রকম । দুর্ঘটনা ঠেকাবার উপায় ছিল না। সেলুন গাড়িটার মোটা বেঁটে কালে রঙের ড্রাইভারটি গাড়ির এবং নিজের খানিকটা বিপদের ঝুকি নিয়ে মেয়েটিকে জোরে ধাক্কা দিয়েও প্ৰাণে বঁচিয়ে দেয়। র্দাতে দাত চেপে ব্ৰেক কষার সঙ্গে সঙ্গেই সে গাড়িটাকে ডাইনে \Sტ\ტ