পাতা:শান্তিলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নন্দকে দোকানে গিয়ে শিশিতে একটু তেল আর কিছু মশালাপতিও এনে দিতে হয়েছে। - দাদা গেছে কোথা ? - কে জানে কোন চুলোয় গেছে তোমার দাদা। এবেলার খ্যাটের জোগাড় করে দিয়ে নন্দও তার দাদার মতো কোন চুলোয় গেছে কে জানে—এখনও দুজনার পাত্ত নেই। ঘুমে কাতর বাচ্চাগুলি খিদেয় বোধ হয় বেশী কাতর ছিল। কাউকে ডেকে, কাউকে টেনে হিচড়ে তুলে এনে খেতে বসাতে বেশী হাঙ্গামা করতে হয় না । মস্ত একটা হাই তুলে শুকনো কাশির একটা ধমক সামলে এতক্ষণে যেন শান্তিলতাকে দেখতে পেয়ে চ্যাদি খ্যানখ্যান করে বেজে 8ळे : -কেমন মজা টের পাচ্ছিস লো শান্তি। ডিঙি মেরে মেরে भिछिलद्र शिछू छूि छूलि आद्ध ? —মিছিলের আওয়াজ পেলে তুমিও তো ছুটে যাও। —যাই তো । গলির মোড়ে দাড়িয়ে মিছিল দেখে ঘরে ফিরি। তোর মতো আখায় ভাত চাপিয়ে ঘরদের ফেলে রেখে মিছিলে ভিড়ে টাে টো করে ঘুরে বেড়াই সারাদিন ? ধিঙ্গিপনার সীমা আছে তো মেয়েমানুষের, বউমানুষের। নিরুপায় ছোট মেয়ের নিজের পক্ষে সাফাই গাওয়ার মতো নালিশের সুরে বলে শান্তিলতা : -ওরা যে সবাই হাসিমুখে আমন করে ডাকল দিদি। তেতিল৷ ()