পাতা:শান্তিলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডাগদরবাবু। বেহুশি হয়ে ঘুমোচ্ছিল, নাড়ীটা এখন ছেড়ে গেছে মনে হয় । কানে স্টেথোস্কোপ লাগানো থাকায় ডাক্তার যে তার মৃদুস্বরে বলা কথাগুলি শুনতে পায় নি। সেটা বোধহয় এতক্ষণে রাসমণির খেয়াল হয়। সে চুপ করে পাথরের মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থাকে। শান্তিলতা নীরবে উঠে গিয়ে তার পাশে দাড়ায়। ডাক্তার পেট-টপাটেপি আরম্ভ করলে সুখেন্দু আৰ্তনাদ করে ওঠে। ডাক্তারের ধমক খেয়ে গোঙাতে গোঙাতে বলে : -আর তোকে মারব না। শান্তি, আর তোকে বঁাধব না। সুখেন্দুর একটু দিশেহারা ভাব জেগেছে টের পাওয়া যায়। সেই একরোখা একগুয়েমিটা যেন আর নেই। কী করবে। ঠিক যেন বুঝে উঠতে পারছে না। ভাবি জমাবার চেষ্টা করছে সকলের সঙ্গে। গা বঁচিয়ে সাব ধানে চলাফেরা করছে । গুণ্ডাদের হাতে মার খেয়ে রক্তবমি করেছিল। সকলে তাকে সহানুভূতি জানিয়েছে। কিন্তু গুণ্ডাগুলির কোনো শাস্তি হয় নি। শান্তিলতা রাগ করে বলে : —যাও কেন গুণ্ডাদের ব্যাপারে ? \ტ8