পাতা:শান্তি-পাগল.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8२ শান্তি-পাগল। , , ব। নির্ধাভন ক্ষরিবেন ? তিনি যে জানিতেছেন- যে সকলই ভাঙ্গরই, অথবু তিনিই সকলই । কারণ তিনি জানিতেছেন যে তুমিও ভিনি একই। সেই "সোহহং” জ্ঞানে যখন জানিত্বে পারিতেছেন যে সকলই তাহারই– বা তিনিই সকলই-তখন অভিমান ও ঘৃণা আর তাহার অস্তরে কিরূপে স্থান পাইবে ? নাথ ! জীবন-সৰ্ব্বস্ব ! বলিয়া #েও— এ মহাজ্ঞান কবে আবার হিন্দু জাতির অভ্যন্তরে ক্ষরিত হইবে? হে সৰ্ব্ববিদ ব্রহ্ম! তুমি বলিয়া দেও কবে আমরা আবার এই মহান বিশ্বভাবে স্কৃমুপাণিত হইয়া পরস্পর নির্ধাভন ভুলিয়া যাইব— এবং অন্যান্ত জাভিকেও ভ্রাতৃ-ভাবে আলিঙ্গন করিতে পারিব । এ নীচ স্বণ। বিদ্বেষ ও আত্মাভিমান থাকিতে আমাদের আর মুক্তি নাই । হে দয়াময় ! তুমি দয়া না করিলে আর এই ঘোর নরক হইতে আমাদের উদ্ধার নাই ! দয়াময় ! আমি আমার জাতির পক্ষে তোমার চরণে পড়িতেছি—তুমি কৃপ। করিয়! তোমার অজ্ঞান সস্তুক্তিগণকে এ ঘোর মহান্ধকার হইতে জ্ঞানজ্যোতিতে লইয়া চল । , একবারতোমার বিশ্বরূপ মূৰ্ত্তিতে তাহদিগের সম্মুখে উপস্থিত হইয়। র্তাহাদিগের অজ্ঞান মোহ বিদূরিত কর! তোমার সেই বিশ্বরূপ মূৰ্ত্তির আবির্ভাবে জগৎ হইতে ভেদ-বুদ্ধি একেবারে বিদূরিত হউক। এ সংসারের অধিকাংশ দুঃখেরই মূল—এই রাক্ষসী ভেদ-বুদ্ধি । হে নাথ ! হে করুণাধার! তুমি কৃপা করিয়া আমাদিগকে এই ভেদ-বুদ্ধি রাক্ষসীর হস্ত হইতে মুক্ত কর । এই ভেদ-বুদ্ধিই বিকটমূৰ্ত্তি ধারণ করিয়া আমাদিগকে তোমার সহিত মিশ্রিত হইতে দিতেছে ন। ঐ দেখ । জাতিগত, বর্ণগত, ও বংশগত বিদ্বেষ-বুদ্ধিতে অন্ধ হইয়। জমির পরস্পর পরস্পরকে পায়ে ঠেলিভেছি । পরস্পরের প্রভি পরস্পরের অস্তরে বিদ্বেষ থাকায় আমরা কোন মহৎ কার্স্যেই পরস্পর প্রাণের সহিত যোগ দিতে পারিতেছি না ! এস নাথ ! ধর ধর !! আমাদিগকে এই বিপদ হইতে রক্ষা কর! gososo;