পাতা:শিক্ষিতা পতিতার আত্মচরিত - মানদা দেবী.pdf/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অগ্নি ক্রীড়া
১২৫

ছেন। এই যুবটী উচ্চ শিক্ষিত আকুমার ব্রহ্মচারী ছিলেন। আমি প্রথমে একটু আশ্চর্য্য হইলাম। কারণ, আমার এমন সুন্দরী যুবতী বন্ধুটী যে শেষকালে একটা বাঙ্গাল যুবকের প্রেমে মজিরে তাহা ভাবি নাই। একবার এই ব্রাহ্মণ বধূটী অপর কতিপয় মহিলাকর্ম্মীর সহিত প্রচার কার্য্য করিবার নিমিত্ত পূর্ব্ববঙ্গে গিয়াছিলেন। এই ব্রাহ্মণ-বধূটী নারী-কর্ম্ম-মন্দিরের এক নির্জ্জন কক্ষে ঐ চির-কুমার কর্ম্মীর নিকট গীতা পড়িতেন।

 আমি পূর্ব্বেই বলিয়াছি, মফঃস্বল হইতে যে সকল মহিলাকর্ম্মী আসিয়াছিলেন, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন কলিকাতায় তাঁহাদের থাকিবার ব্যবস্থা করিয়াছিলেন। তাহা হইতেই নারী-কর্ম্ম-মন্দিরের সৃষ্টি হয়। প্রথমে উহা ভবানীপুরে দেশবন্ধুর সাক্ষাৎ তত্ত্বাবধানে ছিল। তাঁহার অন্যতম সহকারী শ্রীযুক্ত বসন্ত কুমার মজুমদার মহাশয়ের পত্নী শ্রীযুক্তা হেমপ্রভা মজুমদার যখন কর্ম্মক্ষেত্রে বিশেষ দক্ষতা দেখাইলেন, তখন তাঁহার উপরেই নারী-কর্ম্ম-মন্দিরের ভার অর্পিত হয়, এবং উহা কলিকাতা সীতারাম ঘোষের ষ্ট্রীটে স্থানান্তরিত হয়।

 সেই ব্রাহ্মণ বধূটী স্বামী ছাড়িয়া আসিবার পর আর গৃহে যান নাই— কলিকাতাতেই থাকেন। নব প্রণয়ীর সহিত অবৈধ সংসর্গের ফলে তাঁহার গর্ভসঞ্চারের লক্ষণ দেখা যায়। তখন দেশ-কর্ম্মী যুবকটী সেই বধূটীকে লইয়া পলায়ন করিলেন। যাঁহারা এই অবৈধ প্রণয়ে বাধা দিয়াছিলেন, তাঁহারা দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনকে এ বিষয়ে জানান। কারণ যুবকটী তাঁহার বিশেষ প্রিয় ছিল কিন্তু তিনি ইহার কোন প্রতিকার করিতে পারেন নাই।

 কর্ম্মীদলের মধ্যে নারী পুরুষেয় এই প্রকার কলুষিত