পাতা:শিক্ষিতা পতিতার আত্মচরিত - মানদা দেবী.pdf/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২৭
শিক্ষিতা পতিতার আত্মচরিত
১২৭

 পিকেটিং করিবার সময় পুলিশ মহিলা কর্ম্মীদেরও গ্রেপ্তার করিত। একবার শ্রীযুক্তা বাসন্তী দেবী ও শ্রীযুক্তা বগলা সোম প্রভৃতিকে থানায় নিয়া সাবধান করিরা ছাড়িয়া দেওয়া হয়। আমরা পুলিশকে ভয় করিতাম না। কারণ ঘাঁটির পাহারাওয়ালা হইতে পুলিশের উচ্চ কর্ম্মচারী পর্য্যন্ত সকলের সহিত আমাদের বিশেষ পরিচয় থাকে। আমাদের কয়েক জনকেও পুলিশ ধরিয়া থানায় নিয়াছিল। সেখানে প্রধান কর্ম্মচারী আমাকে দেখিয়াই একটু মুচকি হাসিলেন। দেখিলাম তিনি আমার পরিচিত। বিখ্যাত অভিনেত্রী নীরদা সুন্দরীর গৃহে তাঁহার সহিত আমার আলাপ হয়। কলিকাতার মধ্যে সকলেই এই ব্রাহ্মণ-বংশীয় পুলিশ কর্ম্মচারীকে ভালরূপ জানেন। বলা বাহুল্য তিনি আমাদিগকে মুক্ত করিয়া দিলেন।

 ইহার কিছুদিন পরে উত্তর বঙ্গে ভীষণ জলপ্লাবন হয়। বন্যাবিধ্বস্ত লোকদের সাহায্যের জন্য কলিকাতায় নানাপ্রকারে চাঁদা তোলা হইতে থাকে। ইহার জন্য এক কেন্দ্রীয় সমিতি গঠিত হয়। আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান অধিনায়ক হইয়াছিলেন। ছাত্র ও যুবকেরা রাস্তায় রাস্তায় গান গাহিয়া ভিক্ষা করিতে আরম্ভ করিল— ধনী লোক স্বতঃ প্রবৃত্ত হইয়া বহু অর্থ দান করিলেন—থিয়েটার,বায়স্কোপ কোম্পানীর মালিকেরা বেনিফিট নাইটএর ধ্বন্দোবস্ত করিলেন;— ছোট ছোট ক্লাব ও নানাপ্রকার সমিতি অভিনয়াদি আমোদ-প্রমোদের দ্বারা অর্থ সংগ্রহ করিলেন, গভর্ণমেণ্টের পক্ষ হইতেও সাহায্যের জন্য সামান্য টাকা মঞ্জুর হইল।

 অসহযোগ আন্দলনের সময় প্রকাশ্য কর্ম্ম ক্ষেত্রে নামিয়া