পাতা:শিক্ষিতা পতিতার আত্মচরিত - মানদা দেবী.pdf/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬২
শিক্ষিতা পতিতার আত্মচরিত

me retire for the night, (তাহলে আজ রাত্রের মত বিশ্রাম লাভ করি) বলিয়া দরজাটি বাহির হইবার সময় টানিয়া দিয়া গেলেন। আমার এই দালাল বন্ধু দুটির নিজ নিজ ব্যবসায়ে পসার হয় নাই, সেই জন্য আমার এই কার্য্যে তাঁহারা সহায়তা করেন, দালালির অংশ আধাআধি।

 কিন্তু আশা মিটে কৈ? খরচও সঙ্কুলান হয় না, বিশেষতঃ এই মহাপাপের পয়সারও আবার বখরাদার দুইজন। একদিন ব্যারিষ্টারকে বলিলাম―তুমি একেবারে অকর্ম্মা। এত জায়গায় জাল ফেলে একটিও রুই কাতলা গাঁথতে পারলেনা। রাজধানীর আশে পাশে জাল হাতে করে ঘুরলে হবেনা, একটু দূরে যাও। যে বাঙ্গালটি, সেই যে পাট ব্যবসায়ী গুহ, সেটি বেশ জবর মক্কেল ছিল, দর্শনেই এক গিনি, স্পর্শনে হয়ত পাটের সওদাগরী জাহাজও খান কতক এই গহ্বরে রেখে যেত। পারবে ধরতে তাকে!

 কিছুদিনের জন্য ব্যারিস্টার দালাল উধাও হইলেন। একটী প্রকাণ্ড কাণ্ড করিয়া বসিলেন। আসাম হইতে বেশ একটি ভদ্রবেশধারী ধনবান মনুষ্য গ্রেপ্তার করিয়া আনিলেন। তিনি চিরকুমার ব্রত প্রচারের জন্য তাঁহার উৎসাহের অভাব নাই। তিনি প্রথম দিনেই আমাদিগের আতিথ্য স্বীকার করিয়া রজনীযোগে চির-কৌমার্য্যের মহিমা কীর্ত্তন শুরু করিয়া দিলেন। আমি কপটাচারে চিরদিনই অভ্যস্ত। গভীর রাত্রে তাঁহার সঙ্গে একাকী এ বিষয়ে আলোচনায় প্রবৃত্ত হইব বলিয়া রাত্রির জলযোগ শেষ করিয়া লইলাম।