পাতা:শিক্ষিতা পতিতার আত্মচরিত - মানদা দেবী.pdf/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬৪
শিক্ষিতা পতিতার আত্মচরিত

হইলে পাপের স্বরূপ পূর্ব্বে চিনিয়া লওয়া প্রয়োজন, তাই এই গুলি যত্ন করিয়া রাখিয়াছি। কিন্তু কি আশ্চর্য্য, যখন নিভৃতে এইগুলি সম্মুখে রাখিয়া মনে মনে ইহাদের কুৎসিত ভাবগুলি আলোচনা করি, তখন কি একটা ঘৃণিত লিপ্সা প্রাণে জাগিয়া উঠে; যেন, ছিছি সে কথা বলিতে লজ্জা মনে হয়। আপনি চিরকুমার ব্রতধারী, বলিতে লজ্জা করে, তখন মনে হয়―বোধ’হয় অতি নিকট-আত্মীয় বিরুদ্ধ সম্পর্কীয় একজন সুবেশধারী যুবকের সঙ্গও আমার পক্ষে নিরাপদ নহে।

 ঘড়িতে ঢং ঢং করিয়া তিনটা বাজিল। আমি বিশ্রামের প্রস্তাব করিলাম তিনি সম্মত হইলে, উভয়ে একই কক্ষে শয়ন করিলাম, আমি নিদ্রার ভান করিয়া রহিলাম, কিন্তু জাগ্রত ছিলাম, তিনিও নিদ্রা যাইতে পারিলেন না। আমি পূর্ব্বেই পরিচয় পাইয়াছিলাম, তিনি মহাবনী। এক্ষণে সাড়া দিয়া বলিলাম―বাড়ীখানি আমি ভাড়া লইয়াছি, বিশ হাজার টাকা লইলে এখানি নিজস্ব করিয়া, এইখানে দু’জনে থাকিয়া এই মহামন্ত্রের প্রচার করিতে সমর্থ হই, নচেৎ শীঘ্রই এ স্থান ত্যাগ করিতে হইবে। তিনমাসের বাড়ীভাড়া ১০০ টাকা হিসাবে বাকী পড়িয়াছে। তিনি তৎক্ষণাৎ স্বীকার হইলেন। বলিলেন―যদি আপনার মত সঙ্গী পাই তবে যথাসর্ব্বস্ব এই কার্য্যে ব্যয় করিতে প্রস্তুত আছি। বুঝিলাম তাঁহাকে হস্তগত করিয়াছি। তখনও তাঁহার নিদ্রা আসে নাই আসিবার সম্ভাবনও ছিল না, তখন আমার পবিত্র ব্রতধারী, আমার জীবন সঙ্গীর একটু পরিচর্য্যায় নিযুক্ত হইলাম। নিকটে আসিয়া বলিলাম―নতুন স্থানে আসিয়া আপনার নিদ্রার ব্যাঘাত হইতেছে;