সাক্ষ্য দিবে। বেশ, তুমি তবে সাধুসজ্জন নিয়ে থাক— আমি এই মূহুর্ত্তে চল্লুম।
রমেশদা উঠিয়া টলিতে টলিতে জুতা পরিলেন, জামা গায়ে দিলেন। একি, সত্যই তিনি চলিলেন। অমি ছুটিয়া যাইয়া তাঁহার পা জড়াইয়া ধরিলাম, “রমেশদা আমায় ছেড়ে যেওনা, আমার অপরাধ হয়েছে, ক্ষমা কর— আমার অকূল সমুদ্রে ভাসিও না।”
রমেশদা এক লাথি মারিয়া আমাকে দূরে ফেলিয়া ক্রোধোন্মত্ত স্বরে চীৎকার করিয়া কহিলেন, “চুপ রও সয়তানী,— আমি তোমার কোন কথা শুনতে চাই না। তোমার ধর্ম্মজ্ঞান নিয়ে তুমি থাক।” নেশার ঘোরে তিনিও পড়িয়া যইেতেছিলেন। আমি তাড়াতাড়ি তাঁহাকে বিছানায় শোয়াইয়া মাথায় জল দিয়া বাতাস করিতে লাগিলাম।
কিয়ৎক্ষণ পরে তাঁর খুব বমি হইতে লাগিল। বিছানা মেজে সব ভাসিয়া গেল। দুর্গন্ধে ঘর ভরিয়া উঠিল। বামুন ঠাকুর অথবা চাকর হইারা কেহ কাছে আসিল না। আমি নিজেই বাল্তি করিয়া জল আনিয়া সমস্ত পরিষ্কার করিলাম। রাত্রিতে আমাদের কাহারও আহার হইল না। আমি তাঁহাকে বাতাস করিতে লাগিলাম। শেষ রাত্রিতে তাঁর খুব ঘাম হইয়া দেহ একেবারে হিম হইয়া গেল। আমার বড় ভয় হইল। মানসিক উদ্বেগে দুশ্চিন্তায় সারা রাত্রি আমার ঘুম হইল না।
পরদিন বেলা নয়টার সময় রমেশদার চৈতন্য হইল। তাঁহাকে স্নান করাইয়া একট গরম দুধ দিয়া কোকো তৈয়ারী করিয়া