পাতা:শিখগুরু ও শিখজাতি.pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চদশ অধ্যায় వ శ్రీ খষ্টাব্দে কাশ্মীর জয় করেন । এই সময়ে ভূ-স্বর্গ কাশ্মীরের প্যাতি দেশ বিদেশে ব্যাপ্ত হইয়া পড়ে। ক্লাশীর মোগলভূপতিগণের বিলাসক্ষেত্রে পরিণত ইয়া শোভন-প্রাসাদে ও মনোহর উষ্ঠানমালায় শোভিত হইল । মোগল-গৌরব স্বর্য অস্তমিত হইবার পরে ১৭৫২ খৃষ্টাব্দে মহাবীর আমেদ সাহ কাশ্মীর জয় করেন । তদবধি কাশ্মীর, তাছার ও তদীয় বংশধরগণের অধীন রহিয়াছিল । ১৮৯১ খৃষ্টাব্দে মহারাজ রণজিৎ কাশ্মীরঞ্জয়ের আয়োজনে প্রবৃত্ত হন । ঐ বৎসরে এবং তাঙ্গার পরবর্তী বৎসরে তিনি মুসলমান-অধিকৃত তিনটি ছোট ছোট রাজ্য অধিকার করিয়া কাশ্মীরবিজয়ের পথ উন্মুক্ত করিয়া আনিতেছিলেন । এই সময়ে আফগানরাজ সাহ মামুদ কাশ্মীরের বিদ্রোহী শাসনকৰ্ত্তাকে শাস্তিপ্রদানের নিমিস্ত মন্ত্রী ফতেখাকে সসৈন্তে প্রেরণ করেন। ফতেখ' সিন্ধুনদী পার হুইবার পরে রণজিৎ র্তাহার অভিপ্রায় জানিতে পারিয়া তাতার সহিত মিত্রত স্থাপন করেন। দুইপক্ষে মৌখিকসন্ধি স্থাপিত হুইল । উভয়পক্ষ একযোগে কাশ্মীর জয় করিবে, শিপের লুণ্ঠনলন্ধধনের তৃতীয়াংশ পাইবে এইরূপ কপা হইয়া গেল । শিখসেনাপতি মোকম চাদ ও ফতেখ একসঙ্গে নিজ নিজ সৈন্তদলসহ বিতস্তাতীর হইতে রওয়ানা হক্টলেন । পিরপঞ্জাল পাহাড়ে {{’ir l'ania rang; ) উপনীত হইয় ফতেখণর মনে দুরভিসন্ধি জাগিয়া উঠিল । তিনি একাকী কাশ্মীরজয়-গৌরব লাভ করিবাব মানসে আপনসৈন্যসহ দ্রুতবেগে অগ্রসর হইতে লাগিলেন । তুষারাবৃত পাৰ্ব্বত্যপথে শিখসৈন্তেরা স্বচ্ছদে বিচরণ করিতে অভ্যস্ত নহে সুতরাং মোকমর্চাদ তাহার সৈন্যদলসহ পশ্চাতে পড়িয়া রহিলেন । কোনোরূপ চাঞ্চল্য প্রকাশ না করিয়া শিখ-সেনাপতি কৌশলে ফতেখার অসদভিপ্রায় বার্থ করিতে চেষ্টা করিলেন । তিনি এক পাৰ্ব্বতানায়ককে