পাতা:শিখগুরু ও শিখজাতি.pdf/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృఫిస్క్రి শিখগুরু ও শিখঞ্জাতি প্রলুব্ধ করিয়া তাহার সাহায্যে সোজাপথে যথাসময়ে কাশ্মীরে যাইয়া ফতেখার সহিত মিলিত হইলেন । শয়নকর্তী শত্রুভয়ে নগর ছাড়িয়া পলায়ন করিলেন । উভয় সৈন্যদল অক্লেশে নগর জয় করিল । ফতেখ7 ঘোষণা করিলেন যে, শিখেরা লুণ্ঠন-লব্ধ ধনের ভাগ পাইবে না । মোকমর্চাদের সৈন্যবল যথেষ্ট ছিল না, তিনি কোনো গোলমাল না বাধাইয়া কাবুলের ভূতপূৰ্ব্ব সম্রাট সাহ সুজাকে সঙ্গে লইয়া লাহোরে ফিরিয়া আসিলেন । এই দুর্ভাগ্য নরপতি সহোদরকর্তৃক স্বরাজ্য হইতে তাড়িত হইয়া ভারতবর্ষে আইসেন এবং এই সময়ে কাশ্মীর নগরে বন্দীভাবে অবস্থান করিতেছিলেন । সাহ সুজার পত্নীর অনুরোধে রণজিৎ মুজাকে উদ্ধার করেন এবং পুরস্কার-স্বরূপ ইতিহাস-প্রসিদ্ধ কোহিনুর মণি লাভ করেন। এই মহামূল্য মণি আড়ম্বরপ্রিয় মোগলসম্রাট সাজাহানের দরবারগুহের প্রধান শোভন-সামগ্রী ছিল। প্রসিদ্ধ লুণ্ঠনকারী নাদের সাহ দিল্লীনগর লুণ্ঠন করিয়া অপরাপর দ্রব্যের সহিত এই মণিটি লাভ করিয়াছিলেন । উত্তরাধিকারসূত্রে সাহ সুজা এই মণির অধিকারী হইয়াছিলেন । কোনো কোনো ঐতিহাসিক বলেন --রণজিৎ মুজার নিকট হইতে বলপূৰ্ব্বক এই মণি আদায় করিয়াছিলেন । জনশ্রুতি আছে, কোনো ইংরাজ একবার মহারাজ রণজিৎকে কোহিনুর মণির মূল্য জিজ্ঞাসা করায় তিনি উত্তরে বলেন –“ইহার মূল্য পাচ জুতা অর্থাৎ, যাহার বলপ্রকাশের ক্ষমতা অাছে তিনিই ইহার অধিকারী হইতে পারেন।” ফলে তাহাই হইয়াছে । ইংরাজের বাহুবলে পঞ্চনদপ্রদেশ জয় করিয়া ১৮০৯ খৃষ্টাব্দে রণজিতের পুত্রের নিকট হইতে কোহিনুর লইয়া গিয়াছেন । লুষ্ঠিত ধনের অংশ না পাইয়া রণজিৎ ফতেখার উপর অত্যস্ত ক্রুদ্ধ হইলেন। মহারাজ এই দুর্ব্যবহারের প্রতিবিধান করিতে অভিলাষী