পাতা:শিখগুরু ও শিখজাতি.pdf/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চদশ অধ্যায় ১২৭ হইলেন। তিনি সিন্ধুতীরবর্তী আটক দুর্গের অধ্যক্ষ জহান্দাদ থাকে কোনোক্রমে বাধা করিয়া উক্ত দুর্গ হস্তগত করেন। আটক দুর্গ রণজিতের করায়ত্ত হইয়াছে দেখিয়া ফতেখার ক্রোধের সীমা রছিল না । তিনি রণজিৎকে ঐ তর্গ ছাড়িয়া দিতে বলিলেন । রণজিৎ জানাইলেন যে, কাশ্মীর-লুণ্ঠন-লব্ধ ধনের ভাগ না পাইলে তিনি কিছুতেই আটক দুর্গ আফগানদিগকে ছাড়িয়া দিবেন না। নিৰ্ব্বিবাদে আটক দুর্গ পুনৰ্ব্বার পাওয়া যাইবে না বুঝিতে পারিয়া ফতেখ৭ তাহার ভ্ৰাতা আজমখাকে কাশ্মীরের শাসনকৰ্ত্ত নিযুক্ত করিয়া স্বয়ং সসৈন্তে তুর্গ জয় করিতে চলিলেন । শিখেরাও সেনাপতি মোকমর্চাদের অধীনে যুদ্ধার্থ প্রস্থত হইল। শিখসেনাপতি আটকের নিকটবৰ্ত্ত হয়দারু নামক স্থানে পাঠানসৈন্যদিগকে আক্রমণ করিলেন । একদল শিথসৈন্তকে পরাজিত করিয়ু আফগানসেন্তের যখন বিজয়গৰ্ব্বে নগরলুণ্ঠনে প্রবৃত্ত । হইয়াছিল, তখন মোকমর্চাদ তাহার সৈন্তবলসহ তাহদের উপর ভীষণবেগে পতিত হইলেন । আফগানের পরাজিত হইল, ফতেখ পলায়ন করিয়া প্রাণ বাচাইলেন। এইদিন ১৮১৩ খৃষ্টাব্দের ১৩ই জুন শিখেরা সৰ্ব্বপ্রথম প্রকাগুযুদ্ধে আফগানদিগকে পরাজিত করিল। এই যুদ্ধে জয়ী হইয়া শিথসৈন্যদের সাহস ও বলবিক্রম বাড়িয়া গেল । মহারাজ রণজিৎ কাশ্মীরঞ্জয়ের জন্ত আবার সৈন্যবল সংগ্ৰহ করিতে । লাগিলেন। তিনি সিয়ালকোটে অবস্থান করিয়া মুযোগের প্রতীক্ষা করিতেছিলেন। ফতেখার অনুপস্থিতিকে সুযোগ মনে করিয়া তিনি কাশ্মীর । আক্রমণ করিতে চলিলেন । এই যাত্রা কাশ্মীর আক্রমণ করিতে যাইয়। ཐག་རྐྱེ་ তাহার হঠকারিতার পরিচয় দিয়াছিলেন এই সময়ে তাহার সৈন্যবল ও যুদ্ধোপকরণ পৰ্য্যাপ্ত ছিলনা ; পাৰ্ব্বত্য রাজারাও তাহার বিরোধী ছিলেন ; সেনাপতি মোকমর্চাদও মৃত্যুশয্যায় শায়িত মুমূর্য, সেনাপতি