পাতা:শিখগুরু ও শিখজাতি.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 শিখগুরু ও শিখজাতি মত লইয়া বিরোধ করিতে লজ্জা অনুভব করেন না। ইহা হইতেই বুঝা যায় য়ে তাঙ্গর অসদবুদ্ধির দ্বারা পরাভূত হইয়াছেন। তিনিই প্রকৃত হিন্দু যিনি ন্যায়নিষ্ঠ, তিনিই প্রকৃত মুসলমান যিনি পবিত্র । ” | বাবা নানকের সার্বভৌমিক সাধন হিন্দু ও মুসলমান এই দুই ধৰ্ম্মের সমন্বয় সাধন করিয়াছিল | . “ভগবান এক, মানুষ ভাই ভাই” এই সত্যটিই তিনি প্রচার করিতেন । তিনি নিজেকে মৃত্যুশীল, পাপী মানব বলিয়াই মনে করিতেন । সৰ্ব্বশক্তিমান স্বয়স্তু, স্বপ্রকাশ পরব্রহ্মের প্রতি বিশ্বাসই মুক্তির একমাত্র উপায় বলিয়া তিনি প্রচার করিয়াছেন । আদি গ্রন্থের পরিশিষ্টভাগে একস্থানে তিনি লিখিয়াছেন –“মানুষ বেদ ও কোরাণ পাঠ করিয়া সাময়িক আনন্দ লাভ করিতে পারেন, কিন্তু ভগবানকে লাভ না করিলে কখনই মুক্তিলাভ করিতে পারিবেন না।” কোনো অলৌকিক ক্রিয় কাগু দেখাইয়া তিনি কদাচ কাহাকেও ভুলাইতেন না । কেহ তাহাকে অলৌকিক কিছু দেখাইতে বলিলে তিনি বলিতেন—“আমি কেবলমাত্র পবিত্র ধৰ্ম্মের কথা জানি, আর কিছু জানি না। একমাত্র ঈশ্বর সত্য, আর সব অস্থায়ী ।” শেষ জীবনে বাবা নানক সপরিবারে বিপাশা নদীর তীরে কৰ্ত্তারপুরে বাস করিতেন । তথন নানা স্থান হইতে সৰ্ব্বশ্রেণীর লোক আসিয়া তাহার শিষ্ণু হইতে লাগিল। তাহার ঐকান্তিক ধৰ্ম্মনিষ্ঠা, মধুর বচন ও সরল সৌজন্য সকলকে মোহিত করিত। তিনি হিন্দুকে উপদেশ দিবার সময়ে হিন্দুশাস্ত্রের উল্লেখ করিতেন, কোরাণ হইতে বচন উদ্ধত করিয়া মুসলমানদিগকে উপদেশ দিতেন। এইরূপ ভক্তসমাগমে নানকের বাসভূমি কৰ্ত্তারপুর পরম তীর্থ হইয়া উঠিল—দলে দলে লোক আসিয়া তথায় পুণ্য ও শান্তি লাভ করিত। নানকের সহচর ভক্তদিগের মধ্যে মর্দানা ও বালসিন্ধুর কথা পূৰ্ব্বে