পাতা:শিখগুরু ও শিখজাতি.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨ 8 শিখগুরু ও শিখজাতি হরগোবিন্দ في 8 دولي هوة لا অৰ্জুনের মৃত্যুর পরে তাহার পুত্র হরগোবিন্দ যন্ত গুরুর পদ লাভ করেন। পিতার মৃত্যুর সময়ে তাহার বয়স এগার বৎসরের বেশি ছিল না। হরগোবিন্দের জ্যেষ্ঠতাত পৃথীর্চাদ গুরুপদ-লাভের জন্য ষড়যন্ত্র করিয়াছিলেন কিন্তু তাহার সে চক্রান্ত ব্যর্থ হইয়াছিল । হরগোবিন্দ র্তাহার পিতার স্থায় তেজস্বী ও নিৰ্ভীক ছিলেন । সহচরগণের উত্তেজনায় তিনি মোগল সম্রাটের নিকট র্তাহার পিতার নির্দোষত্ব সপ্রমাণ করিলেন। মোগল সমাট আপনার ভ্রম বুঝিতে পারিয়া হরগোবিন্দের পিতৃবৈরী চান্দসাহকে গুরুর হস্তে বিচারার্থ প্রদান করিলেন। হরগোবিন্দ পূৰ্ব্ববর্তী গুরুদিগেরষ্ঠায় ধৰ্ম্ম-পরায়ণ ও ক্ষমাশীল ছিলেন না । পিতৃবৈরীকে স্বহস্তে পাইয়। তিনি বৈরনিৰ্য্যাতন পূহ সংবরণ করিতে পারিলেন না । অমানুষিক অত্যাচার করিয়া তিনি চান্দকে হত্যা করিয়াছিলেন। অপরিণতবয়স্ক হরগোবিন্দ পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী গুরুদিগের প্রদর্শিত পথ অতিক্রম করিয়া তাহার শিষ্য-মণ্ডলীকে রণমন্ত্রে দীক্ষিত করিবার নিমিত্ত চেষ্টা করেন । শিখধৰ্ম্ম-প্রতিষ্ঠাতা বাবা নানক অহিংসাপরায়ণ ও নিরামিষাশী ছিলেন। হরগোবিন্দ মৃগয়াতেই সৰ্ব্বদা নিযুক্ত থাকিতেন এবং মৃগয়ালব্ধ মাংস ভোজন করিতেন। অনেক অসচ্চরিত্র ব্যক্তি শারীরিকবল সম্পন্ন বলিয়া তাহার শিষ্যমণ্ডলীভূক্ত হইতে পারিয়াছিল । - পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী গুরুদের ধৰ্ম্মপ্রাণতা যে সম্প্রদায়কে জীবন দান করিয়াছিল অৰ্জুনের শোচনীয় মৃত্যু ও হরগোবিদের যুদ্ধানুরাগ সেই সম্প্রদায়কে যুদ্ধনিপুণ করিয়া তুলিল । তাহার শিষ্যগণ অকুষ্ঠিত চিত্তে গুরুর