পাতা:শিখগুরু ও শিখজাতি.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায় vన్ని. মৃত্যুর অভিসম্পাত বহন করিয়া আমি দিল্লী নগরে যাইতেছি। সেখানে আমার মৃত্যু অবশুম্ভাবী। আমার মৃতদেহ যেন শৃগাল কুকুরের ভক্ষ্য না হয় । আর এই অত্যাচারের প্রতিশোধ গ্রহণ করিতে বিস্মৃত হইও না ।” প্রহরি-বেষ্টিত শিখগুরু যথাসময়ে দিল্লীশ্বর আরংজীবের সমীপে নীত হইলেন । শিখলেখকদের গ্রন্থে লিখিত হইয়াছে যে, এই সময়ে সমাটু আর জীব তেগ বাহাদুরকে নানা উপায়ে মুসলমান ধৰ্ম্মে দীক্ষিত করিবার নিমিত্ত চেষ্টা করিয়াছিলেন । কিন্তু কোনরূপ প্রলোভন বা ভীতি প্রদর্শনে তাহাকে স্বধৰ্ম্মচু্যত করিতে পারিলেন না । সম্রাট বিশেষ পীড়াপীড়ি করায় তিনি বলিয়াছিলেন—“ পৃথিবীর সকলে মুসলমান হইবে ইহাই যদি ভগবানের অভিপ্রেত হয়, তাহা হইলে তিনি এত ভিন্ন ভিন্ন ধৰ্ম্মমত সংসারে রাখিয়াছেন কেন ?” গুরুর এই উক্তি শ্রবণ করিয়া সম্রাট ক্রুদ্ধ হইয়া বলিয়া উঠিলেন—“তোমার এমন কি অলৌকিক বিদ্যা জানা আছে, যাহার প্রভাবে তুমি একটি ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের নায়ক হইতে চাও; তোমার সেই অলৌকিক বিদ্যার পরিচয় প্রদান কর কিংবা মুসলমানধৰ্ম্মে দীক্ষিত হও । এই দুইটির কোন প্রস্তাবে সম্মত না হইলে ঘাতকের তরবারি তোমার শিল্প ছিন্ন করিবে ।” রোযদীপ্ত দিল্লীশ্বরের সিংহাসনসমুখে দাড়াইয়া নিভাক তেগ বাহাদুর অবিচলিতকণ্ঠে উত্তর করিলেন—“ভগবানের আরাধনাই মনুষের কৰ্ত্তব্য ; আমার কোন অলৌকিক শক্তি দেখাইবার ইচ্ছা নাই । তথাপি আপনার অনুরোধে আমি এক কাৰ্য্য করিব, আমার গলদেশে মন্ত্রপূত একখণ্ড কাগজ বাধা থাকিবে, আমার মৃত্যুর পরে তাহা অলৌকিক কাৰ্য্য সাধন করিবে ।” _ এই বলিয়া গুরু আপনার কণ্ঠে কাগজখণ্ড বাধিয়া মৃত্যুর প্রতীক্ষায় গ্রীব অবনত করিয়া দিলেন । সম্রাটের ইঙ্গিতে ঘাতক