পাতা:শিখগুরু ও শিখজাতি.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম অধ্যায় 8 , বলিতেন– “ হে পবিত্র তরবারি, আমি পরম শ্রদ্ধাসহকারে তোমাকে প্রণাম করি। * গোবিন যখন তাহার থালসা শিষ্যদের লইয়া প্রার্থনা করিতেন, তখন তিনি ভক্তিনম মনে বলিতেন,- “হে জগদীশ্বর, তুমি দয়া করিয়া এই করিও, আমি যেন কখনো মঙ্গলব্রত-সাধনে দ্বিধা না করি, আমি যখন জয়লাভে সংকল্প করিয়া রণ-ক্ষেত্রে প্রবেশ করিব, তখন যেন কিছুতেই শত্রুর ভয়ে যুদ্ধক্ষেত্র হইতে পলায়ন না করি । বুদ্ধ ক্ষেত্রে মৃত্যু যখন আমার নিকটবর্তী হইবে তখন আমি যেন বীরের মত মরিতে পারি হে ঈশ্বর, জীবনে-মরণে তুমিই আমার প্রভু হইও ” দূরদর্শী গুরু গোবিন্দ জানিতেন যে, অচিরেই তাহাকে প্রবল মোগল-রাজশক্তির সম্মুখীন হইতে হইবে । তিনি আপনাকে সৈন্তবলে বলী করিবার নিমিত্ত ঘোষণা করিলেন যে, যে শিখ-পরিবারে চারিজন পরিণতবয়স্ক পুরুষ আছে সেই পরিবারের দুইজনকে সৈনিকবৃত্তি গ্রহণ করিতে হুইবে । এই আদেশ প্রচারিত হইবার পর দেখিতে দেখিতে গুরুর অধীন সৈন্তের সংখ্যা আশী সহস্ৰ হইল জাতিকুলের অভিমানে জলাঞ্জলি দিয়া উচ্চ নীচ, হিন্দু মুসলমান সকলে আসিয়া গুরু গোবিন্দের পতাকা-মূলে মিলিত হইল। খালসা সম্প্রদায় একতার আশ্চৰ্য্যশক্তি অবিলম্বে অনুভব করিতে লাগিল । তাহারা সমরকুশল বীৰ্য্যশালী সম্প্রদায়ে পরিণত হইল । নুতন খালসারা প্রত্যেকেই খালসা বলিয়া গৌরব অনুভব করিতে লাগিল । গুরু গোবিন্দের আহবানে সহস্ৰ সহস্ৰ হীনজাতীয় ব্যক্তি খালসা হইয়া ক্ষত্রিয়ত্ব লাভ করিল } শুরু গোবিন্দ তাহার অধীন সৈন্তদিগকে কিঞ্চিৎ অস্ত্রবিদ্যা শিক্ষা

  • সার গর্ডনের মতে অশি সহস্র ; কিন্তু ম্যাগ্রেগর বলেন বিশ সহস্ৰ ।