পাতা:শিখগুরু ও শিখজাতি.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম অধ্যায় స్క్రిడి:. এই শিখবীর প্রথমে ইসলাম ধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়া জীবন বঁাচাইতে অনুরুদ্ধ হইলেন । বীরবর তরুসিংহ কোনো ক্রমেই তার ধৰ্ম্মমত পরিবৰ্ত্তন করিতে সন্মত হইলেন না। ক্রুদ্ধ হইয়া তখন শাসনকৰ্ত্ত বলিলেন— “তরুসিংহ সত্বর শিখধৰ্ম্ম ত্যাগ করিয়া ইসলাম ধৰ্ম্ম গ্রহণ কর, নচেৎ তোমার বেণী কৰ্ত্তন করা হইবে।” নিৰ্ভীক তরুসিংহ উত্তর করিলেন--- “ ভাল তাঁহাই হউক, বেণীর সহিত মস্তকের সম্বন্ধ অবিচ্ছিন্ন, আমি বেণী ও মস্তক একসঙ্গে দান করিব।” তিনি তাহার ধৰ্ম্মমতের চিহ্ন বেণী কাটিতে দিলেন না। “বেণীর সঙ্গে মাথা দিয়া” নির্ভয়-হৃদয়ে মৃত্যুকে বরণ করিলেন । ভক্ত তরু সিংহের তপ্ত শোণিতে সুহিদগঞ্জের ধরণীবক্ষ রঞ্জিত হইল । জিকারিয়া খাঁর মৃত্যুর পরে লাহোরের রাজপ্রতিনিধির পদ লইয়া তাহার দুই পুত্রের মধ্যে বিবাদ চলিতেছিল। কনিষ্ঠ সাহ catata ti ( shah Nuwaz Khan ) caférat stafési fiat স্বয়ং শাসনভার গ্রহণ করেন। ১৭৪৭ খৃষ্টাব্দে নাদীর সাহ নিহত হইলে আহম্মদ সাহ আবদালী আফগানিস্থানের অধিপতি হইলেন । আফগানরাজের সহায়তা পাইবার আশায় সাহ নোয়াজ খ! তাহার সহিত কথাবাৰ্ত্ত চালাইতেছিলেন । দুরাণীরাজ আবদালী সৈন্ত-বল ংগ্ৰহ করিয়া এতকালৰ্বভারতবর্ষের দিকে লোলুপ-নেত্ৰে চাহিয়াছিলেন, তিনি লাহোরের শাসনকৰ্ত্তার আহবানে উৎফুল্প হইয়া দ্রুতগতি পঞ্চনদপ্রদেশে যাত্রা করিলেন । এদিকে লাহোরের শাসনকৰ্ত্ত নোয়াজ খায় মতি ফিরিয়া গেল, তিনি আবদালীকে মিত্রভাবে অভ্যর্থনা না করিয়া সিন্ধুতীরে তাহাকে সসৈন্তে আক্রমণ করেন। দুর্ভাগ্য নোমাজ পরাঞ্জিত হইলেন । আবদালী পাঞ্জাব অধিকার করিলেন । সিরহিন্দ পৰ্য্যস্ত তিনি পলায়নপর নোয়াজের অনুসরণ করিয়াছিলেন । এই