পাতা:শিখ-ইতিহাস.djvu/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিখ-গুরু বা শিক্ষকগণ Q33 বাদসাহু দয়াপরবশ হইয় অথবা কুসংস্কার প্রণোদিত হইয়া, গুরুকে কারাগার হইতে মুক্ত করিয়াছিলেন। ২৫ ১৬২৮ খৃষ্টাব্দে জাহাঙ্গীরের মৃত্যু হয়। জাহাঙ্গীরের মৃত্যুর পর হরগোবিন্দ মুসলমান বাদসাহের অধীনেই কার্য করিতে লাগিলেন। কিন্তু কিছুকাল পরেই তিনি পঞ্জাবের রাজকীয় মুসলমান কমর্চারিগণের বিরুদ্ধে অস্থধারণ করিলেন । তাহার একজন শিন্য তুর্কদেশ হইতে কয়েকটি বহুমূল্য ঘোটক আনয়ন করিয়াছিল। কথিত হয়, সেই ঘোড়াগুলি বাদসাহের সম্পত্তি বলিয়া অবরুদ্ধ হয় ; একটি ঘোটক পুরস্কার স্বরূপ লাহোরের কাজী (বিচার কর্তা ) প্রাপ্ত হন। গুরু সেই ঘোটক খরিদ করিবার ছল করিয়া তাহার পুনরুদ্ধার করেন। এইরূপে প্রতারিত হওয়ায়, বিচারকর্তা কাজী হরগোবিন্দের প্রতি ক্রুদ্ধ হইলেন। আর একট কারণে র্তাহার ক্রোধ বৃদ্ধি পাইল । শিখগণ বলেন, কাজীর কন্যা, এবং মুসলমানগণ বলেন । কাজীর উপপত্নী, গুরুর প্রতি আসক্ত হইয়াছিল ; এবং গুরু তাহাকে অপহরণ করিয়াছিলেন। অন্যান্য কারণেও হরগোবিন্দ মুসলমানদিগের বিরাগভাজন হইয়াছিলেন ; স্বতরাং তাহাকে আক্রমণ করিয়া তাহারসৈন্যদলকে বিচ্ছিন্ন করিবার জন্য মুসলমানগণ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হইয়াছিল। মুকুসিল খাঁ নামক একজন সেনাপতি র্তাহাকে আক্রমণ করে । কিন্তু অমৃতসরের নিকটবর্তী স্থানে বাদসাহের সমগ্র সৈন্য শিখদিগের নিকট সম্পূর্ণরূপে পরাভূত হইয়াছিল। কথিত আছে,– এই যুদ্ধে তাহার পাঁচ হাজার সৈন্তের নিকট রাজকীয় সাত হাজার সৈন্য পরাজিত হয়। অতঃপর শিখধমাবলম্বী একজন দস্থ্য লাহোর হইতে বাদসাহের দুইটি শ্রেষ্ঠ ঘোটক চুরি করিয়াছিল ; তজ্জন্ত প্রাদেশিক সৈন্যগণ কর্তৃক গুরু পুনরায় আক্রাস্ত হন। কিন্তু যুদ্ধে সেই সমুদায় সৈন্য বিধ্বস্ত এবং সেনাপতিগণ নিহত হইয়াছিল। তখন হরগোবিন্দ মনে করিলেন যে, শতদ্রুর দক্ষিণ ভাতিন্দা নামক নির্জন বন্য-প্রদেশে যাইয়া কিছুকাল বাস করাই বিধেয় – ভাবিলেন, সেই স্থানে তিনি নিরাপদে বাস করিবেন ; রাজকীয় সৈন্যগণ সেরূপ দুর্গম স্থানে যাইয়া তাহাকে পুনরায় আক্রমণ করা নিম্প্রয়োজন বা বিপদসঙ্কুল মনে করিবে । তিনি স্থযোগ প্রতীক্ষা করিতে লাগিলেন। কিন্তু সে স্থযোগ আর আসিল না। নূতন বিবাদে প্রবৃত্ত হইবার জন্যই যেন, পুনরায় তিনি পঞ্জাবে প্রত্যাবর্তন করিলেন। পায়েও খ) নামক এক ব্যক্তির মাতা হরগোবিন্দের ধাত্রী ছিল । এই স্ত্রীলোক এক সময়ে বিশেষ Re I Compare the ‘Dabistan', ii. 273, 274 and Forester, “Travels,” i. 290 299 ! দেশীয় ইতিহাসের উপর নির্ভর করিয়া কাশ্মীর-ভ্রমণ এবং মুসলমান মোল্লাদিগের সহিত ধর্মালাপের বৃত্তান্ত উদ্ধত হইয়াছে। মোসান ফাণীর মতে হরগোবিন্স দ্বাদশ বৎসরকাল কারারুদ্ধ ছিলেন। ফরস্টার বলেন, প্রথমে একজন মুসলমান নেতা হরগোবিন্দকে বাদসাহের বগুতা স্বীকার করিতে বাধ্য করেন। এই নেতার মধ্যস্থতায় তাহার কারামুক্তি হয়। বাদসাহ জাহাঙ্গীর তাহার জীবনবৃত্তান্তে. যোগী ও ঐশ্রজালিকদিগের প্রতি বিশ্বাস ও সন্মান-সম্বন্ধে অনেকগুলি দৃষ্টান্ত প্রদর্শন করিয়া গিয়াছেন। তাহার জীবন-বৃত্তান্তের ১২৯ প্রভৃতি পৃষ্ঠা বিশেষরূপ দ্রষ্টব্য। সেন্থলে একজন ঐত্রজালিকের সস্থিত উাহার সাক্ষাতের বিষয় বর্ণিত আছে।