পাতা:শিখ-ইতিহাস.djvu/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ix ) || 6 || শিখ ইতিহাস দীর্ঘকাল ধরে বাংলা সাহিত্যেও আলোচনার বিষয়বস্তু হিসাবে গৃহীত হয়েছে, তবে রাজপুতানার ইতিহাস যে পরিমাণে হয়েছে সে পরিমাণে আদৌ নয়। যতদুর অনুসন্ধান করতে পেরেছি ‘বিবিধার্থ সংগ্রহ’ পত্রিকার পৃষ্ঠাতেই এর সূচনা হয় । ১৭৭৩ শকের ( ১৮৫১ খ্ৰী: ) ১ম পর্বের ১ম সংখ্যাতেই ‘শিখ ইতিহাস’ নামে একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। পরের বছর তৃতীয় পর্বের ২৯শ সংখ্যায় মুদ্রিত হয় 'মহারাজা রঞ্জিত সিংহের জীবনবৃত্তাস্ত’ নামে একটি নিবন্ধ। পরবর্তীকালে অন্যান্য পত্র-পত্রিকায় শিখ সম্প্রদায় নিয়ে নানা প্রবন্ধ প্রকাশিত হতে থাকে । এর মধ্যে ‘ভারতী’ অন্যতম। দীনেন্দ্র কুমার রায় শিখ ধর্মগ্রন্থ ও ধর্মনীতি নিয়ে একটি প্রবন্ধ রচনার পর পাঁচটি সংখ্যায় ধারাবাহিকভাবে ‘শিখধর্মের উৎপত্তি ও বিস্তৃতি' নামে এক সুদীর্ঘ প্রবন্ধ রচনা করেন । ‘শিখ সম্প্রদায়ের অধঃপতন’ ও ‘শিখ স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা প্রবন্ধদ্বয়ের দ্বারা তার ১৩০১-২ বর্ষব্যপী শিখচর্চার ফসল তিনি সম্পূর্ণ করেন। ব্রজসুন্দর সান্তালও তিনটি সংখ্যায় ধারাবাহিকভাবে ( ১৩১৩ ব: ) শিখ-স্বাধীনতার প্রায় ষাট পৃষ্ঠাব্যপী বিবরণ রচনা করেন। এর বিশ বছর আগেই ( ১২১৩ ব: ), শীতলাকাস্ত চট্টোপাধ্যায় রচনা করেন ‘পঞ্জাব ভ্রমণ ধারাবাহিকভাবে। এছাড়া এই পত্রিকার পৃষ্ঠাতেই জানেন্দ্র মোহন দত্ত অনূদিত ‘মুখমনী’, দেবেন্দ্রনাথ মিত্রের শিখ পরিচয়’, বরদাকান্ত মিত্রের ‘শিখ যুদ্ধের ইতিহাস', বসন্তকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের "গুরু গোবিন্দ সিংহ, শরৎ কুমার রায়ের ‘শিখগুরুও শিখজাতি", যতীন্দ্রনাথ সমাদারের ‘শিখের কথা', তিনকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়ের "গুরু গোবিন্দ সিংহ প্রভৃতি বইয়ের সমালোচনাও পত্রস্থ হয় । উল্লেখিত বইগুলি ছাড়াও কুমুদিনী মিত্রের শিখের বিপ্লব", মহেন্দ্রনাথ গুপ্তের ‘পাঞ্জাব কেশরী রণজিৎ সিংহ", মহেন্দ্রনাথ বসুর ‘নানক প্রকাশ’ অর্থাৎ গুরু নানকের জীবন চরিত্র ও শিখধর্মের ইতিবৃত্ত সার', গোকুল দাস অনুদিত ‘মুখমনী’ এবং দীনেশচন্দ্র বর্মন-এর ‘শিখের আত্মাহুতি’ সবিশেষ উল্লেখযোগ্য। কুমুদিনী বস্থ (মিত্র)-এর আরও একটি বই, শিখের বলিদান'। এটির ৪র্থ সংস্করণ এবং 'শিখের বিপ্লব’-এর ৬ষ্ঠ সংস্করণ আমরা দেখেছি। মহেন্দ্র গুপ্তের বইটির ৪র্থ সংস্করণ প্রকাশিত হয় ১৩৫১ বঙ্গাব্দে । দীনেশচন্দ্র বর্মণের বইটি ( ১৯৩১ ) ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত হয়' এ ছাড়া শরৎ কুমার রায়ের শিখগুরুও শিখজাতি’র ভূমিকা লিখে দেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। অনবদ্য সে ভূমিকা । ছোটদের জন্য "ছোটদের নানক রচনা করেন বঙ্কিমচন্দ্র দাশগুপ্ত ( ১১s৪ ) এবং তার আগেই ১৯২৩ খ্ৰীষ্টাব্দে ‘গুরু গোবিন্দ সিংহ" রচনা করেন যোগেন্দ্রনাথ গুপ্ত ।