15 সম্বন্ধে একটি গল্প, গোবিন্দ প্রবর্তিত ধৰ্ম-নীতি, “খালসা” সম্প্রদায়, ঈশ্বর প্রতিকৃতির উপাসনা বৃথা । ঈশ্বর অদ্বিতীয় । মহন্ত মাত্রেই সমান ; পৌত্তলক ধর্মের উচ্ছেদ-সাধন আবশ্বক ; মুসলমানদিগকে বিনাশ করিতে হইবে, পহাল’ বা ‘সিংহ সম্প্রদায়ের শিখদিগের মন্ত্রদীক্ষা, ‘শিখ” অথবা “সিংহ”দিগের বাহ্যিক স্বাতন্ত্র্যব্যঞ্জক নিদর্শন, জল দ্বারা পরিশুদ্ধি ; নানকের প্রতি ভক্তি ; এবং “গুরুর জয় হউক” শব্দে জয়ধ্বনি উচ্চারণ, মস্তক-মুগুনে নিষেধাজ্ঞা প্রচার ; “সিংহ” উপাধি, অস্ত্রের প্রতি ভক্তি, গোবিন্দের আক্রমণ কালে মোগল সাম্রাজ্যের বিশেষত্ব এবং অবস্থা, আকবর, আওরঙ্গজেব, মহারাষ্ট্রীয় বীর শিবাজী ; গুরু গোবিন্দ, প্রকাশু বাধা প্রদানে গোবিন্দের মন্ত্রণা, —তাহার সামরিক আবাসস্থান ; হিমালয়ের পাদদেশস্থ পার্বতীয় সামস্তগণের সহিত যোগদান ; ধর্মোপদেষ্টারূপে গোবিন্দের প্রভুত্ব প্রভাব, নাহুন এবং নালাগড়ের রাজার সহিত গোবিন্দের কলহ, বাদসাহের সৈন্যের বিরুদ্ধে গোবিন্দ কর্তৃক কালুরের রাজা এবং অন্যান্য সামন্তগণকে সাহায্য প্রদান, ১৭ • ১ –গোবিন্দের কার্যকলাপে পার্বত্য সামস্তগণের সন্দেহ বৃদ্ধি, এবং তৎফলে সম্রাটের উদ্বেগ, আনন্দপুরে গোবিন্দের বিৎপাৎ ; গোবিন্দের সস্তানগণের পলায়ন ; কিন্তু পরিশেষে ধৃত ও নিহত হওন, –গোবিদের চুমকোঁড় পলায়ন, চুমকোঁড় হইতে গোবিন্দের প্রস্থান, মুক্তসরে অনুসরণকারিগণকে বাধা প্রদান এবং কৃতকার্যতা লাভ ;–ভাতিলদার সন্নিকটস্থ দমদম্মায় গোবিন্দের বিশ্রাম ; গোবিন্দ কর্তৃক “বিচিত্র নাটুক” রচনা, —আওরঙ্গজেব গোবিন্দের সাক্ষাৎকার লাভে আহবান, —আওরঙ্গজেবের প্রতি গোবিন্দের ঘৃণাব্যঞ্জক উত্তর প্রদান, —আওরঙ্গজেবের মৃত্যু ; বাহাদুর সাহের সিংহাসন প্রাপ্তি । গোবিন্দের দাক্ষিণাত্যে গমন, গোবিন্দের সম্রাটের কর্মচারী পদ লাভ, ১৭০৮ —নরহস্তার হস্তে গোবিন্দ সাংঘাতিক আঘাত প্রাপ্ত হন, —গোবিন্দের নৃত্যু ;– উদ্ধেশু সাধনের জন্য শিষ্যগণের প্রতি গোবিন্দের উপদেশ ; ঈশ্বরের হস্তে “খালসা" সমর্পণ, অকালে গোবিদের মৃত্যু হইল বটে ; কিন্তু তাহার পরিশ্রম নিস্ফল হয় নাই ১৭০৮ –সংস্কার-প্রাপ্ত হিন্দুদিগের উপর নবভাবের প্রভাব-প্রসার বিস্তৃতি —ভারতবাসীর পক্ষে প্রকাগুরূপে হইলেও, তাহা বৈদেশিকগণের বোধগম্য নছে, কিছুকালের জন্য বান্দ কর্তৃক গোবিন্দের উত্তরাধিকারিত্ব লাভ, বান্দার উত্তরপ্রদেশ গমন এবং সারহিন্দ অধিকার, লাহোর অভিমুখে বাদসাহের অভিযান, ইতিমধ্যে বান্দার জামু অভিমুখে গমন,
