দশম পাদস্য ক! গ্রন্থ । >
অব্যবহিত পরেই অতীতকালের সাতটি রাজার উপাখ্যান ইহাতে সন্নিবিষ্ট রহিয়াছে। এই অংশ ১৮ পৃষ্ঠায় সম্পূর্ণ।
ব্ৰহ্মার সাতটি অবতারের নাম যথাক্রমে,—
১ । বাল্মীক । ৫ । ব্যাস । ২ । কস্তাপ । ৬। খাস্ত রিক্ষ্মি, ( অথবা ছয়জন ঋষি । ) ৩ । শূকর। ৭ । কুল দাস । ৪ । বাচেস ।
আটজন রাজার নাম যথাক্রমে,
১ । মই ৷ ৫ । মান্ধীতা । ২ । পৃথিৰ । ৬ । দলীপ বা দীলিপ । ৩ । সগর । ৭ । রঘু । ৪ । বাণ । ৮ । আজ ।
১১শ । কোন নিদিষ্ট নাম নাই ; কিন্তু সচরাচর “রুদ্র বা শিবের অবতার” নামে পরিচিত। ইহাতে ৫৬টি পৃষ্ঠা পরিপূর্ণ; কেবলমাত্র দত্ত এবং পরেশনাথ নামক দুইটি অবতারের বিষয় এই অংশে বণিত আছে।
১২শ। “শস্ত্র নাম মালা",—বা অস্ত্র-শস্ত্রের নামমালা। বিভিন্ন অস্ত্র সমূহের নাম, এই অংশে বিবৃত। সেই সমূদায় অস্ত্র-শস্ত্রের গুণাবলী বিশদরূপে বর্ণিত হইয়াছে। গুরুগোবিন্দ সই অস্ত্র-সমষ্টিকে র্তাহার গুরু বা পরিচালক বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন। এতৎসত্বেও সাধারণের বিশ্বাস, সেই রচনাসমূহ গোবিন্দের লেখনীপ্রস্থত নহে। প্রায় ৬• পৃষ্ঠায় এই অংশ সম্পূর্ণ।
১৩শ। “ঐ-মুখ বাক, সাইয়া বাতিস",– এই অংশের বত্রিশটি কবিতা গুরু ( গোবিন্দের ) বাক্য নামে পরিচিত। কথিত কবিতাগুলি গোবিন্দ রচনা করিয়াছিলেন । কবিতাগুলি বেদ, পুরাণ এবং কোরাণের নিন্দাবাদে পরিপূর্ণ। প্রায় সাড়ে তিন পৃষ্ঠায় এই অংশ সম্পূর্ণ।
১৪ । “হাজরে শবদ’,—বা হাজার শব্দ। শব্যালঙ্কারে লিখিত সহস্রাধিক কবিতা। প্রায় অধিকাংশ গ্রন্থেই ১০টি কবিতা, দুই পৃষ্ঠায় সমাপ্ত। এস্থলে “হাজার” শত্ব প্রকৃত অর্থে প্রযুক্ত হয় নাই ; এই অংশে হাজার’ শব্দের অর্থ,—‘অমূল্য’ বা অত্যুভম (শ্রেষ্ঠ)। এই কবিতাবলী স্বষ্টিকর্তা এবং স্বষ্টি-চাতুর্যের প্রশংসাবাদে পরিপূর্ণ। সীমাবদ্ধ বা নির্দিষ্ট ক্ষমতা-সম্পন্ন দেবদেবী এবং যোগী-সন্ন্যাসীদিগের উপাসনা বা তৎপ্রতি ভক্তি প্রদর্শন তাহীতে নিষিদ্ধ। গুরু গোবিন্দ এই কবিতাবলী রচনা করিয়া
ছিলেন ।
১৫ । “স্ত্রী-চরিত্র",- স্ত্রী-কাহিনী । স্ত্রীলোকের স্বভাব ও প্রকৃতির বর্ণনা সম্বলিত
পাতা:শিখ-ইতিহাস.djvu/৪৪৪
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিন
অনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
