পাতা:শিখ-ইতিহাস.djvu/৪৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দণ্ডবিধি \OO সমাদর করিবেন। যে শিখ, তাহার স্বজাতীয় অপর আর একজন শিখকে আহার্য প্রদান করে, তাহার উপরই গুরুর চির অনুগ্রহ বর্তমান থাকিবে । ১৭৫২ সম্বতের ( ১৬৯৬ খ্ৰীষ্টাব্দের প্রারম্ভে ) ৫ই মাঘ বৃহস্পতিবার কৃষ্ণপক্ষে এই নিয়মাবলী বিধিবদ্ধ হইল। যে ব্যক্তি এই সকল উপদেশ পালন করিবে, সেই ব্যক্তিই গুরু গোবিন্দ সিংহের শিষ্য –শিখপদবাচ্য। গুরুর আজ্ঞাও গুরুর ন্যায় পালনীয় । ঈশ্বরের উপর নির্ভর কর । ] - ৪। "টাঙ্খা নামে"-দণ্ডনীতি বা দণ্ডবিধি ; অথবা শিখদিগের প্রতি কতকগুলি নিষেধাজ্ঞা । ( সার-মর্ম ) ভাই নন্দলাল কোন সময়ে গুরুকে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন ; সেই প্রশ্নের উত্তরে এই অংশ লিখিত হয় । ভাই নন্দলাল, গুরু গোবিন্দকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন,—শিখজাতির পক্ষে কি কি বিধেয়, এবং কি কি পরিতাজ্য ? নন্দলাল জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন,—শিখ-জাতির পক্ষে কোন কোন কার্য বিধেয় এবং কোন কোন বিষয় পরিত্যজ্য। তখন গুরু তাহাকে নিম্নলিখিত উত্তর প্রদান করেন,— শিখদিগের এইরূপ কার্য করা উচিত ;–শিখদিগের মন সর্বদ ঈশ্বরে নিমগ্ন থাকিবে । তাহারা দান-ধর্মাচরণ করিবে এবং পবিত্রাত্মা হইবে ( নাম, দান, স্নান )। যে ব্যক্তি প্রত্যহ প্রত্যুষে কোন ধর্মাধিকরণে গমন করে না, কিংবা কোন পবিত্রাত্মা ব্যক্তির সাক্ষাৎকার লাভে বিমূখ হয়, সেই ব্যক্তি নিশ্চয়ই পাপী। নিরাশ্রয় অনাথকে যে (অন্তরে ) স্বান দান না করে, তাহার পাপ অনন্তকাল স্বায়ী । জগদীশ্বরের অনুগ্রহ ব্যতীত কোন কার্যই সম্পন্ন হয় না। উপাসনাস্তে, কিংবা স্তোত্র পাঠ সমাপন করিয়া, যে ব্যক্তি ভক্তি সহকারে প্রণিপাত করে (অর্থাৎ বিনয়াবনত হয় ), সেই ব্যক্তিই পুণ্যাত্মা। ঐকাস্তিকতা সহকারে প্রত্যেক আগন্তুককেই সমভাবে ( করপ্রসাদ অর্থাৎ খাদ্য ) দান করিতে হইবে। ময়দা, শর্কর এবং নবনীত তুল্যাংশে মিশ্ৰিত করিয়া সেই প্রসাদ প্রস্তুত করিবে। প্রসাদ-প্রস্তুতকারী প্রথমে অবগাহন পূর্বক স্বান করিয়া, কৃতাহিক হইবে ; পরে সেই প্রসাদ রন্ধনকালে সর্বদা "ওয়া গুরু" শব্দ উচ্চারণ করবে। সেই প্রসাদ প্রস্তুত শেষ হইলে, তাহ একটি গোলাকৃতি পাত্রে রাখিতে হইবে। ষে শিখ, তুর্কদিগের মনোমোহন কবচ তিলকাদি ধারণ করে, অথবা যাহার চরণ দ্বারা লৌহ পৃষ্ঠ হয়, সেই শিখ নিশ্চয়ই নিরয়গামী হইবে। যে ব্যক্তি ( স্থহি রদের )