পাতা:শিখ-ইতিহাস.djvu/৪৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দণ্ডবিধি OA শিখ মাত্রেই আপনাপন ধর্মপত্নীর সংসর্গ উপভোগ করিবে । তাহারা কখনও পরস্ত্রী-সংসর্গ করিবে না । যে ব্যক্তি অনাথ দরিদ্রকে কোনরূপ সাহায্য করে না, সে কখনও ঈশ্বরকে দেখিতে পাইবে না । যে ব্যক্তি ঈশ্বরোপাসনা অবহেলা করে, পবিত্ৰাত্মা ব্যক্তিগণকে সন্মান করে না ; যে ব্যক্তি দু্যতক্রীড়ায় আসক্ত হয়, কিংবা গুরুনিন্দ শ্রবণ করে, সে ব্যক্তি কদাচ শিখপদ বাচ্য নহে । প্রতিদিন যাহা অর্জন বা সঞ্চয় হয়, তাহার নির্দিষ্ট কতকাংশ ঈশ্বরের নামে স্বতন্ত্র করিয়া রাখা কর্তব্য। কিন্তু ঐকাস্তিকতা সহকারে এবং সত্য ধর্মে নির্ভর করিয়া সকল কার্যই সম্পন্ন করিতে হইবে । নিশ্বাসে বা ফুৎকারে অগ্নি নির্বাপিত করা উচিৎ নহে; কিংবা যে জলের কতকাংশ পান করা হইয়াছে, সে জলসেচন দ্বারাও অগ্নি নির্বাপিত করিবে না। আহারের পূর্বে গুরু নাম উচ্চারণ করবে। বারবণিতার সংসর্গ সর্বথা পরিত্যজ্য । পরস্ত্রীর সহিত ব্যভিচার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। গুরুত্যাগী হইয়া কখনও অপরের মতাম্ববর্তী হইও না। কোন শিখেরই নগ্ন দেহে থাকা উচিত নহে। সম্পূর্ণ উলঙ্গ হইয়া কখনও কোন শিখ অবগাহন করিবে না । উলঙ্গ অবস্থায় খাদ্য বিতরণ একেবারে নিষিদ্ধ * শিখদিগের মস্তক সর্বদ আবৃত থাকিবে । যাহার মুখ হইতে কখনও অসত্যবাণী নিঃস্থত হয় না, চমু মুখে দণ্ডায়মান হইয়া যে ব্যক্তি যুদ্ধে প্রবৃত্ত হয়, দান-ধর্মাচরণই যাহার একমাত্র কার্য, থা জাতিকে বিনাশ করাই যাহার জীবনের একমাত্র ব্রত, সেই ব্যক্তি প্রকৃত শিখ পদবাচ্য। যে ব্যক্তি জিতেন্দ্ৰিয়, “কৰ্ম” ভস্মীভূত করা যাহার কার্য,

  • হিন্দু জাতীয় যোগী পুরুষগণ খাদ্য বিতরণ সময়ে যে নিয়ম অনুসরণ করিয়া থাকেন, এস্থলে ठ९थङिरे लका कब्र इरेब्रांद्वह ।

ীি অর্থাৎ যে ব্যক্তি ব্ৰাহ্মণদিগের আচার-পদ্ধতি ঘৃণা করে।