পাতা:শিখ-ইতিহাস.djvu/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२१ শিখ-ইতিহাস আপনাদিগের এক প্রসিদ্ধ জাতির অন্তর্ভূত করিয়া লন ; এবং অন্যান্ত বীর জাতিকে আপনাদিগের রক্ষকরূপে নিযুক্ত করিয়াছিলেন।৩ অত:পর ভারতবর্ষ-বিজয়-লিপস্থ মুসলমানগণ ধর্মের গতি প্রতিরোধ করিয়াছিল বটে ; কিন্তু রাষ্ট্রচর তুর্কমান দিগের ধর্মোন্মত্ততায় সম্পূর্ণরূপে বাধা প্রদান করিতে সমর্থ হয় নাই। ভারতবর্ষও মুসলমান সাম্রাজ্যের একটা শ্রেষ্ঠ রাজ্য বলিয়া পরিগণিত হইয়াছিল, এবং আরব দেশীয় সেই ধম-প্রচারকের প্রতিভা-শক্তিতে হিন্দুদিগের মানসিক অবস্থার একটা স্থায়ী পরিবর্তন সংসাধিত হইয়াছিল। এক্ষণে লক্ষ লক্ষ ব্যবসায়ী ও পরিশ্রমী ভারতবাসীর মঙ্গলামঙ্গল পশ্চিম খণ্ডের এক প্রধান জাতির অদৃষ্টের সহিত গ্রথিত । খৃষ্টীয় ধর্মমত এবং রোমদেশীয় রাজ্যশাসন-নীতি-সমূহের আদর্শের সহিত, ধর্মাহগত ব্রাহ্মণগণের, শাসনশক্তিসম্পন্ন মোল্লাগণের এবং দৃঢ়বিশ্বাসী শিখগণের বহুদিন পর্যন্ত মতবিরোধ চলিবে । ভারতবর্ষে প্রচলিত প্রাচীন ধর্মমত লইয়া বহুকাল ব্রাহ্মণ ও পরাক্রমশালী ক্ষত্রিয়দিগের বাদ-প্রতিবাদ চলিয়াছিল ; পরিশেষে ক্রমে ক্রমে সেই মত পরিবর্তিত হইয়া প্রসিদ্ধ বৌদ্ধধর্মের উৎপত্তি হয়। খৃষ্ট জন্মের পর নয় শত বৎসর পূর্বে যখন মন্ত্র ধর্মশাস্ত্র প্রণয়ণ ২। Getae (গিতি) জাতি এবং আদিম চীনদেশীয় ইউইচি (Yuechi) এবং আধুনিক ‘জাঠ’ ৰ। ‘জ্যাঠ (Juts or Jats )–একই জাতি বলিয়া কথিত হয়। কিন্তু তর্ক-যুক্তি-সমালোচনায় তাহাঁদের স্বরূপতা নির্ণীত না হইলেও স্বায়তঃ তাহ বুঝিতে পারা যায়। ৩ । ক্ষত্রিয় অথবা রাজপুতদিগের চারিট ‘অগ্নিকুল' জাতির বিষয় বর্ণিত হইতেছে। যথা— ‘চৌহান', 'সোলাঙ্কি’, ‘পাওয়ার’ ( অথবা প্রামর) এবং ‘পুরিহার"। ইহাতে স্পষ্টই বুঝা যায় যে, ইহাদের আদিপুরুষগণ এদেশ আক্রমণ করেন। ব্রাহ্মণদিগের সহিত ক্ষত্রিয়দিগের ও বন্ধিষ্ণু ধর্মত্যাগিগণের এবং গ্রীস ও ব্যাকট্রিয়া-দেশস্থ আক্রমণকারিগণের মধ্যে যখন যুদ্ধ চলিতেছিল তখন ইহার ব্রাহ্মণদিগের পক্ষ অবলম্বন করে। ইহাদের যোদ্ধ প্রকৃতি ও প্রতিভা, সময়োপযোগী সাহায্য ও পশ্চাদ্বতী সাদৃত প্রভৃতি কারণে, স্বৰ্য্য ও চন্দ্র বংশ হইতে স্বতন্ত্র নামে ইহার “অগ্নিবংশ বলিয়া অভিহিত। উজ্জয়িনী হইতে রেওয়া পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত কাশীর নিকটবর্তী স্থানে প্রধানতঃ “অগ্নিকুল" ক্ষত্রিয় দৃষ্ট হয়, এবং “আৰু পৰ্বত তাহাঁদের অলৌকিক জন্ম বা আবির্ভাব স্থান বলিয় নির্দিষ্ট হইয় থাকে। ব্রাহ্মণ্য-ধর্মের প্রতিপোষক বিক্ৰমজিত এই ‘পাওয়ার বংশ সস্তুত বলিয়া সাধারণতঃ কথিত হয়। • । পরস্পর তুলনায় ব্রাহ্মণ্য ও বৌদ্ধধর্মের আপেক্ষিক অগ্রগণ্যতা ও প্রাধান্ত বিষয়ে পণ্ডিতদিগের মধ্যে বহুতর তর্ক-বিতর্ক ও বিবাদ-বিসম্বাদ হইতেছিল। এক সময়ে যে ভারতবর্ষে বৌদ্ধ ধর্ম বহুদূর বিস্তৃত হইয়াছিল এবং পরবর্তী সময়ে যে ব্রাহ্মণ্য ধর্ম বিশেষ প্রতিষ্ঠালাভ করিয়াছিল,—তদ্বিষয়ে সন্দেহ নাই । কিন্তু উভয় ধর্মের মূল বিভিন্ন । বৌদ্ধ, ও ব্রাহ্মণ্য ধর্ম উভয়ই যে এক সময়ে সম-সাময়িকরূপে বহুকাল বিছমান ছিল,—তাহা সত্য বলিয়া অনুমান হয়। বৌদ্ধধর্ম প্রধানতঃ দক্ষিণ-পশ্চিম খণ্ডে এবং ব্রাহ্মণ্য ধর্ম অযোধ্য ও ত্রিছতের নিকটবর্তী স্থান সমূহে প্রচলিত ছিল। এম. বারমুক বলেন, বৌদ্ধ ধর্ম কেবল ভারতবধেই প্রচলিত এবং ভারতবর্ষেই ইহার উৎপত্তি ; কিন্তু এরূপ অনুমান যুক্তিসঙ্গত বলিয়া বোধ হয় zil (“Introduction a I’ Histoire du Buddhisme Indien, Avertissement, I ) : getfit DDDD DDS B DDS DB BBBB BBS BBB BB DD DDB BBBS DDB SBS B BBS অর্থাৎ পিপুলগাছ ( the ficus religiosa ) হইতে নিম্পন্ন হইয়াছে। ব্রাহ্মণদিগের অসাধারণ ব্ৰাহ্মণ্য শক্তি ক্ৰমে ক্ৰমে স্কুরিত ও উন্নত হয়, এবং এই ব্রাহ্মণ্য প্রতিভা বলে হিন্দুমাত্রেই ভারতবর্ষের সর্বত্র অত্যুচ্চ