পাতা:শিখ-ইতিহাস.djvu/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন ভারতের ধর্মমত ኟዋት জৈন• ° ব্যতীত ভারত উপদ্বীপে জার কোন জাতি দেখা যায় নাই । তখন কেৰলমাত্র এই জৈনগণই স্লেচ্ছ জাতি বলিয়া অভিহিত হইত। ইহারাই হিন্দুদিগের মধ্যে অসভ্য ছিল এবং পৌত্তলিক ধর্মের উপাসনা করিত। ক্ষত্রিয়গণ এই সময়ে রাজ্য বিস্তার করেন ৷ সাকারবাদী অসভ্য রাজগণ কেহ কেহ তাঁহাদের বগুতা স্বীকার করিয়াছিল; কেহ কেহ বা তাহাদের ধর্মে দীক্ষিত হইয়াছিল। এ পর্য্যন্ত ব্রাহ্মণগণ ধর্ম-প্রচার কার্য উপেক্ষা করিয়া অসিতেছিলেন। র্তাহারা প্রচারকরূপে ধর্ম-প্রচার করা ভালবাসিতেন না f তদপেক্ষা ঈশ্বর-প্রেরিত মহাপুরুষও ধর্মের প্রণয়নকর্তা বলিয়া পরিচিত হওয়াই বরং শ্লাঘনীয় মনে করিতেন । এই জন্য বিদেশে ব্রাহ্মণদিগের ক্ষমতা হ্রাস হইয়াছিল। কোনও রাজা তত্ত্বজিজ্ঞাস্থ হইয়া ব্ৰাহ্মণদিগকে সম্মান না করিলে, কিংবা কোন উচ্চাভিলাষী যোদ্ধা তাহাদিগের উপদেশ গ্রহণ করিতে ইচ্ছুক না হইলে, দূরদেশস্থ কেহই ত"হাদিগকে আদর করিত না। হিন্দু ধর্ম উন্নতির চরম সীমায় আরোহণ করিয়াছিল; এই জন্য উন্নতির সঙ্গে সঙ্গেই অবনতি ও ধংসের বীজ অঙ্কুরিত হয় । ভিন্ন দেশের আগন্তুকদিগের সহিত মিলিত হওয়ায়, তাহাদের আচার-পদ্ধতি কতকাংশে হিন্দুধর্মের সহিত মিশিয়া যায়। সহানুভূতি প্রকাশের ইচ্ছা প্রবল হইলে, মানব সহজেই আত্মোপযোগী কোনও উপান্ত দেবতা অনুসন্ধান করিয়া লয় ; তখন আর নিরাকার ও নির্বিকার দেবভায় বিশ্বাস করিতে প্রবৃত্তি হয় না ১৩ ইন্দ্রিয় জ্ঞানের কর্তৃবোধে সামান্য একটি কালো ১২। আধুনিক জৈনগণ, বৌদ্ধধর্মের সহিত তাহদের স্বধমের নিকট সম্বন্ধ অকপটভাবে স্বীকার করিয়া থাকে। ফলতঃ, পূর্ব মালবের জৈন সওদাগরগণ, ভিলসা'র টোপিকে জৈনদিগের ধর্মমন্দির ৰলিয়া মনে করে। কোন সময়ে ‘জৈনগণ জনসাধরণের নিকট একটা ভিন্ন সম্প্রদায় বলিয়া পরিচিত হইয়াছিল,—তাহ নিশ্চিত বলা যায় না। আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে,-"কোষ" বা অমরসিংহের অভিধানে যদিও জড় জগতের প্রতিনিধি দেবী, বৌদ্ধধমের প্রবর্তক গৌতমের মাত, ‘মায়াদেবীর' নামাবলীর মধ্যে ‘জিন' শব্দের উল্লেখ দেখিতে পাওয়া যায়, কিন্তু তন্মধ্যে ‘জৈন' শব্দের আদৌ কোন নিদর্শন নাই । "ভাগবতে লিখিত আছে যে, বুদ্ধ জিনের পুত্র ; তিনি ‘কিকুত দেশ' ৰ ৰিহারে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। ১৩ । এলফিনষ্টোন বলেন, ( History of India, i. 189 ) রাম এবং কৃষ্ণ মনুষোচিত ভাৰ এবং কাৰ্য্য দ্বারা অধিক সংখ্যক উপাসকের প্রাণ মন আকর্ষণ করিয়াছিলেন ; অপরিস্ফুট শৈবধমে তত লোক আকৃষ্ট হয় নাই। আমার মনে হয়, "এডিনবরে রিভিউ পত্রে দেখিয়াছি যে, এই তত্ত্ব বিশেষ বিস্তৃতভাৰে বর্ণিত আছে। তাহাতে জানা যায়, যীশুখৃষ্ট যেরূপ কষ্ট ভোগ করিয়াছিলেন, তাহাতে প্রকৃতই খৃষ্টমের বিশেষ উন্নতি সাধিত হইয়াছিল ; ক্রুশাবদ্ধ ঈশ্বরের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শনের জন্ত অনেকেই খৃষ্টশম গ্রহণ করিয়াছিলেন। ষাড়গুলি ধাৰ্মিক হইলে, তাঁহাদের দেবতা গো-মহিষাদির আকার ধারণ করিত’ – জেনোফনের এই তীব্র মন্তব্য সত্য বলিয়া মনে হয় ; কেননা, তখন লোকে সাধারণতঃ দেবতাগুলিকে মনুষ্কের আকৃতিতে সাকার কল্পনা করিতে ভালবাসিত । ( Grote, History of Greece, iv. 523, and ThirwalJ, History, ii 136).