পাতা:শিবাজী - যদুনাথ সরকার.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২
শিবাজী

বা জমিদারের নাম মধ্যযুগের ইতিহাসে পাওয়া যায়। কিন্তু খৃষ্টীয় যোড়শ শতাব্দীর প্রথমে বহমানী-সাম্রাজ্য ভাঙিবার সময় এবং তাহার শতবর্ষ পরে আহমদনগরের নিজামশাহী রাজবংশের দ্রুত অবনতির বিপ্লবে, মারাঠারা এক মহাসুযোগ পাইল। দেশের রাজনৈতিক অবস্থার ফলে মারাঠা কৃষক-বংশের অনেক বলিষ্ঠ, চতুর ও তেজী লোক হাল ছাড়িয়া অসি ধরিল, সৈনিকের ব্যবসা আরম্ভ করিয়া পরে জমিদার ও রাজা হইতে লাগিল। কিরূপে কৃষকপুত্র ক্রমে ক্রমে দস্যুর সর্দার, ভাড়াটে সৈন্যের দলপতি, রাজ-দরবারের সন্ত্রান্ত সামন্ত, এবং অবশেষে স্বাধীন নরপতির পদে উঠতে পারিত তাহার শ্রেষ্ঠ দৃষ্টান্ত—শিবাজী

শিবাজীর পূর্ব্বপুরুষ

 খৃষ্টীয় ষোড়শ শতাব্দীর মাঝামাঝি বাবাজী ভোঁশলে পুণা জেলার হিঙ্গনী এবং দেবলগাঁও নামক দুইটি গ্রামের পাটেল (অর্থাৎ মণ্ডল)- এর কাজ করিতেন। গ্রামের অন্যান্য কৃষকগণের ক্ষেত্রের উৎপন্ন শস্যের এক অংশ পাটেল পদের বেতনস্বরূপ তাঁহার প্রাপ্য ছিল; ইহা ছাড়া তিনি নিজের কিছু ক্ষেতও চাষ করিতেন। এই দুই উপায়ে তাঁহার সংসার চলিত। তাঁহার মৃত্যুর পর তাঁহার দুই পুত্র মালোজী ও বিঠোজী প্রতিবেশীদের সহিত বনিবনা না হওয়ায় সপরিবারে গ্রাম ছাড়িয়া এলোরা পর্ব্বতের পাদদেশে বিরুল গ্রামে চলিয়া গেলেন। এখানে চাষবাসে আয় বড় কম দেখিয়া তাঁহারা সিন্ধখেড়ের জমিদার এবং আহমদনগর রাজ্যের সেনাপতি লখ্‌জী যাদব রাও-এর নিকট গিয়া সাধারণ অশ্বারোহী (বার-গীর্) সৈন্যের চাকরি লইলেন। প্রত্যেকের বেতন হইল মাসিক কুড়ি টাকা।

শাহজী ও জীজা বাঈ

 যাদব রাও ভোঁশলেদেরই মত জাতে মারাঠা। মালোজীর