পাতা:শিবাজী - যদুনাথ সরকার.pdf/২০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শিবাজীর রাজ্য এবং শাসন-প্রণালী
২০১

 (২) অমাত্য (ফারসী, মজমুয়া-দার) অর্থাৎ হিসাব-পরীক্ষক (অডিটর বা একাউণ্ট্যাণ্ট-জেনারেল); তাহার স্বাক্ষর ভিন্ন রাজ্যের আয়ব্যয়ের হিসাবে কাগজ গ্রাহ্য হইত না।

 (৩) মন্ত্রী (ফারসী, ওয়াকিয়া-নবিশ); ইনি রাজার দৈনিক কার্য্যকলাপ এবং দববারের ঘটনার বিবরণ লিখিতেন। যাহাতে রাজাকে গোপনে হত্যা বা বিষ খাওয়াইবার কোনরূপ চেষ্টা না হয়, সেজন্য রাঙ্গাব সঙ্গী, দর্শনপ্রার্থী আগন্তুক ও খাদ্যদ্রব্যের উপর মন্ত্রীকে সতর্ক দৃষ্টি রাখিতে হইত।

 (৪) সচিব (ফাবসী, শুরু-নবিস); ইনি সবকারী চিঠিপত্রের ভাষা ঠিক হইল কিনা দেখিয়া দিনে। যাতে জাল রাজপত্রের সৃষ্টি না হয়, সেইজন্য সচিবকে প্রত্যেক ফর্মান ও দানপত্রের প্রথম পংক্তি নিজহস্তে লিখিয়া দিতে হইত।

 (৫) সুমন্ত (ফারসী, দবীর) অর্থাৎ পর-রাজ্য-সচিব (ফরেন সেক্রেটারী); ইনি বিদেশী দূতদের অভর্থনা ও বিদায় করিতেন এবং চরের সাহায্যে অন্যান্য রাজ্যের খবর আনাইতেন।

 (৬) সেনাপতি (ফারসী, সরু ই-নৌবৎ)

 (৭) দানাধ্যক্ষ, অথবা মারাঠী ভাষায় ডাক-নাম “পণ্ডিতরাও"(ফারসী, সদব ও মুহতসিবের পদ মিলাইয়া); ইনি রাজার পক্ষ হইতে ব্রাহ্মণ-পণ্ডিতদের দক্ষিণা ধার্য্য করিয়া দিতেন, ধর্ম ও জাতসম্পকীয় বিবাদ-বিসম্বাদের বিচার করিতেন, পাপাচার ও ধর্মভ্রষ্টতার শাস্তি এবং প্রায়শ্চিত্ত বিধির হুকুম দিতেন।

 (৮) ব্যায়াধীশ (ফাবসী, কাজী-উল-কুজাং), অর্থাৎ প্রধান বিচারপতি (চীফ জাষ্টিস); ধর্ম্ম-সম্বন্ধীয় মামলা ছাড়া অপব সব বিবাদের বিচারভার ইহার হাতে ছিল।