পাতা:শিবাজী - যদুনাথ সরকার.pdf/২০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০২
শি বা জী

 ইহাদের মধ্যে সেনাপতি ছাড়া আর সকলেই জাতিতে ব্রাহ্মণ, কিন্তু ব্রাহ্মণ হইলেও (দানাধ্যক্ষ ও ন্যায়াধীশ ভিন্ন) অপর পাঁচজন অনেক সময় সৈন্যদলের নেতা হইয়া যুদ্ধে যাইতেন, এবং ক্ষত্রিয়ের অপেক্ষা কোন অংশে কম বীবত্ব বা রণ-চাতুর্য্য দেখাইতেন না। ফর্মান, দানপত্র, সন্ধিপত্র প্রভৃতি সমস্ত বড বড সরকাবী কাগজে প্রথমে রাজার মোহর, তাহার পর পেশোয়ার মোহর, এবং সর্বনীচে অমাত্য মন্ত্রী সচিব ও সুমন্ত -এই চারি প্রধানের স্বাক্ষর থাকিত।

 বর্ত্তমান যুগে বিলাতে মন্ত্রীসভা (ক্যাবিনেট)ই দেশের প্রকৃত শাসনকর্তা; তাহারা সব বিভাগে নিজ হুকুম চালান, যুদ্ধ সন্ধি রাজস্ব শিক্ষা সর্ববিষয়ে রাজ্যের নীতি স্থির করেন। রাজা তাহাদের মত মানিতে বাধ্য, কারণ তাহাদের পশ্চাতে দেশের অধিকাংশ লোক আছে এবং রাজা তাহাদের উপদেশ অনুসারে কাজ না করিলে তাহারা রাগিয়া পদত্যাগ কবিবেন, জনসাধারণ ক্ষেপিয়া উঠিবে, এবং রাজাকে অপদস্থ (হয়ত পদচ্যুত) হইতে হইবে। কিন্তু শিবাজীর উপর মারাঠী অষ্ট প্রধানদের কোন ক্ষমতাই ছিল না; তাহারা রাজার ফেনী (সেক্রেটারি) মাত্র, বাজার কুম পালন করিতেন, তাঁহাদের কোন উপদেশ শুনা না শুনা রাজার ইচ্চজা প্রধানের। কোন বিষয়েই রাজনীতি বাঁধিয়া দিতে পারিতেন না, এমন কি তাহাদের নীচের কর্মচারীরা পর্যন্ত বিভাগীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজার কাছে আপীল করিতে পারিত। আর এই অষ্ট প্রধানের প্রত্যেকেই স্ব স্ব প্রধান, হিংসাপরবশ,ইংরাজ ক্যাবিনেটের সদস্যদের মত সুশৃঙ্খল, একজোট বাধা দল ছিল না।

 লেখকেরা, এবং অনেক স্থলে হিসাবরক্ষকেরা সকলেই জাতিতে কায়স্থ ছিলেন (চিটনবিস, ফর্দিনবিস ইত্যাদি)। সৈন্যদের বেতনের