পাতা:শিবাজী - যদুনাথ সরকার.pdf/২২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

চ তু র্দ্দ শ অ ধ্যা য়

ইতিহাসে শিবাজীর স্থান


শিবাজী ও আওরংজীব

 শিবাজীর কীর্ত্তির আলোকে ভাবতবর্ষের গগণ উদ্ভাসিত হইযাছিল। উত্তর ও দক্ষিণ ভারতে চক্রবর্ত্তী সম্রাটু শাহানশাহ আরংজীব অতুল ঐশ্বর্য্য ও বিপুল সৈন্যবর্ণের অধিকারী হইয়াও বিজাপুর-রাজ্যের জাগীরদারের এই ত্যাজ্যপুত্রকে কিছুতেই দমন করিতে পারিলেন না। মাঝে মাঝে যখন তাঁহার প্রকাশ্য দরবারে দাক্ষিণাত্যেব সংবাদ পড়িয়া শুনান হইত - আজ শিবাজী অমুক জায়গা লুঠ করিয়াছেন, কাল অমুক ফৌজদারকে হারাইয়াছেন, তখন আওরংজীব শুনিয়া নিরুপায় হইয়া চুপ করিয়া থাকিতেন। উদ্বিগ্নচিত্তে মন্ত্রণাগারে গিয়া তিনি বিশ্বস্ত মন্ত্রীদের জিজ্ঞাসা করিতেন, শিবাজীকে দমন কবির জন্য আর কোন্‌সেনাপতিকে পাঠান যায়, প্রায় সব মহারথীইত দক্ষিণ হইতে পরাস্ত হইয়া ফিরিয়াছেন? এই আলোচনায় এক রাত্রে মহাবৎ খাঁ ব্যঙ্গ করিয়া বলিয়াছিলেন,“হুজুর সেনাপতির দবকারকি? কাজী সাহেবের এক ফতোয়া পাঠাইলেই শিবা ধ্বংস হইবে।” কাজী আবদুল ওহাবের কথায় ধর্মধ্বজী বাদশাহ উঠতেন বসিতেন ইহা সকলেই জানিত।

 পারস্যের রাজা দ্বিতীয় শাহ আব্বাস আওরংকীবকে ধিক্কার দিয়াপত্র