পাতা:শিশু-ভারতী - অষ্টম খণ্ড.djvu/২৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

1==r ہےکبھی ہمf বৃষ্টির তোড়ে উপরের স্তর ক্ষয়ে যাচ্ছে, নীচের স্তরগুলো বেরিয়ে পড়ছে। শুধু তাই নয়, যেখানে ইচ্ছা মানুষ খুড়ে দেখতে পারে, নীচের স্তরগুলো আপনা থেকে নজরে পড়বে। সমুদ্রে কিন্তু এসব কিছুই হবার জো নেই। ঝড় বৃষ্টির প্রকোপে সমুদ্রতল ক্ষয়েও যাচ্ছে না, আর জলের ভিতর কেউ খুড়েও দেখতে পারে না। তাই যে আদিম সমুদ্রতলের ভিতরে পাথরের স্তরগুলো আছে সাধারণতঃ তার কোন পাত্তাই পাওয়া যায় না। উপরে যে যন্ত্রগুলার কথা বলেছি তার সাহায্যে যে মাটি কাদা পাক উঠে আসে তার মধ্যে কদাচ কখনও এক আধটা আদিম ( Tertiary ) পাথরের টুকরা পাওয়া যায়, এই পৰ্য্যস্ত। কাজেই জলের ঠিক তলাতে উপরের স্তরে যে বালি কাদা পাক পাওয়া যায় তারই বর্ণনা পড়ে তোমাদের সন্তুষ্ট থাকতে হবে। এই বালি কাদা পাকের মধ্যে ধাতব পদার্থ ও জাস্তব পদার্থ দুই আছে। বেলা ভূমির বালি এক চিমটী নিয়ে যদি অনুবীক্ষণ দিয়ে পরীক্ষা কর ত দেখবে যে তার মধ্যে অজস্র ছোট ছোঠ Quartz পাথরের দানাও রয়েছে আবার অসংখ্য অতি ক্ষুদ্র বিচিত্র গড়নের জীবপঞ্জর শামুক, ঝিনুক জাতীয় জীবের খোসাও রয়েছে । একখানা ছবি এইখানে দিচ্ছি, দেখবে কি অপুৰ্ব্ব সুন্দর গঠন এই সমস্ত জাস্তব পদার্থ কণার ! এখন একটু হিসাব করে দেখা যাক যে সমুদ্রতলের বালি কাদা আসে কোথা হতে। প্রথম হল, ক্ষিতিমণ্ডলের দান । পুথিবীতে যত নদ নদী আছে তারা দিবারাত্র সারাক্ষণ জলের সঙ্গে রাশি বালি কাদা এনে ঢালছে সমুদ্রের মধ্যে এই বালি কাদা ত সমস্তই ডাঙ্গা থেকে সংগ্রহ করা। নদীর স্রোতে, বৃষ্টির তোড়ে মাটি ও পাথর কুচে জলজ জীব শামুক ইত্যাদির কঙ্কাল সব পিষে ভেঙ্গে গুড়ো হয়ে স্রোতের সঙ্গে এসে সাগরে ঢুকছে, আর তলায় প্রায় তিনশে। মাইল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ছে। শুধু নদীর জলের সঙ্গেই যে ডাঙ্গার এই সব চূৰ্ণ পদার্থ আসে তা নয়। ঠাণ্ডা দেশে বরফের চাঙ্গডার ভেতরে ভেসে ভেসে কত রকমের পদার্থ কণা দূর দূর সমুদ্রে চালান হচ্ছে ! এ ছাড়া সমুদ্র কিনারের বড় বড় পাহাড়ের গা পৰ্য্যন্ত অনবরত ভেঙ্গে ধলে চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে জলগর্ভে মিশে যাচ্ছে। বেলাভূমি হতে তিনশে মাইল পর্যান্ত সমুদ্রতল প্রধানতঃ ডাঙ্গা থেকে পাওয়া এই চূর্ণ দ্রব্য সমূহ দিয়ে গঠিত। দ্বিতীয় হল আগ্নেয়গিরির দান। আগ্নেয়পৰ্ব্বত জলের মধ্যেও আছে, ডাঙ্গাতেও আছে। ডাঙ্গায় অগ্নি উৎপাতের ফলে যে Pumice ( ঝামার মত পদার্থ ) ইত্যাদির গুড়ো উৎপন্ন হয়, সে গুলো হাওয়ার স্রোতে উড়ে সমুদ্রের উপর গিয়ে পড়ে। জলে ভেসে ভেসে বহুদূর পর্য্যন্ত যায় ও অবশেষে থিতিয়ে পড়ে সমুদ্র তলে । তারপর সমুদ্র গর্ভস্থ জ্বালামুখী পাহাড়ে বহুযুগ ধরে যে অগ্নির উৎপাত হয়ে আসছে, তার দরুণ যে সমস্ত তপ্ত চূর্ণ •Intos ( Wolcanic dust ) বেরিয়ে এসেছে সে সমস্তই সমুদ্র তলে সঞ্চিত হয়ে রয়েছে। বাহিরের দূর সমুদ্রে অগাধ জলের নীচে হতে যন্ত্র সাহায্যে যে লাল কাদা তুলে আনা হয় তার প্রধান উপকরণই হচ্ছে এই আগ্নেয় ধূলি কণা। তা হলে কিনারেব কাছের সাগর তল হল প্রধানতঃ পদার্থ। দূর সমুদ্রের অথৈ জলের নীচে যে মাটি, সেটা হল মুখ্যতঃ আগ্নেয়গিরির দান। তা হলে এই দুয়ের মাঝে যে সমুদ্রের;.ভাগ a 88 ডাঙ্গ হতে আনা চূর্ণ