পাতা:শিশু-ভারতী - অষ্টম খণ্ড.djvu/২৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

f><tes-ST=== যেরাপ দেখা যায় তাহার একখানা চিত্র এইখানে দিলাম । পুথিবীর নানা স্থানে সমুদ্র তটে যে চা খড়ির পাহাড় আছে সেগুলি প্রধানতঃ এই জীব কঙ্কাল দিয়ে গঠিত। একটা কথা তোমাদের জানা উচিত। বাহির সমুদ্রের তলায় যে লাল পাক পাওয়া যায় তাতেও জীবপঞ্জর যথেষ্ট আছে, কেননা সমুদ্রের জল সৰ্ব্বত্র নানা জাতীয় অতি ক্ষুদ্র জীবাণুতে ভরা। আর এক আশ্চৰ্য্য Ç ఫ్గ ...; " "-- : so שורה ব্যাপার এই যে গভীর জলের লাল পাকের মধ্যে সময় সময় সাবেক কালের অধুনা লুপ্ত জল জস্তুর দস্তাদি পাওয়া যায় । ডাঙ্গায় হলে এই সব দন্তাদি পদার্থ মাটি চাপা পড়ে পড়ে অনেক নীচে ভূগর্ভে চলে যেত। কিন্তু বাহিরের অগাধ সাগরে পলিমাটিও পড়ে না, তলদেশের জলরাশির কোন নড়া চড়াও নাই, একেবারে স্তব্ধ শাস্ত, তাই সেখানকার পাকের মধ্যে প্রাচীন জীল জস্তুর দেহাবশেষ উপরের স্তরেই রয়ে গেছে । --- সমুদ্র গর্ভের অবস্থা সম্বন্ধে একটা কথা বলা বাকী রয়েছে, আলো অ7ধারের কথা । সাগরের জলকে মোটামুটি স্বচ্ছ পদার্থ বলা যায়। তাই সূর্যের আলো বহুদূর পর্য্যন্ত, প্রায় ৬০০ ফুট প্রবেশ করে। ছয়শ্যে ফুট নীচে অবশ্য আলো খুব কম । তারপর ক্রমশ: এই অালো কমতে কমতে তিন হাজার ফুটে একে বারে শেষ হয়ে যায়। তার নীচে গভীর অন্ধকার, স্তন্ধ শান্ত অতি শীতল ঘোর অন্ধকার । সে অন্ধকার যে কেমন তা তোমরা কখনও কল্পনা করতে পারবে না । তোমরা অমাবস্তার অন্ধকারকেই ভীষণতম অন্ধকার বলে মনে কর, কিন্তু সমুদ্রতলের সেই ভীষণ অন্ধকারের সহিত তাহার তুলনা-ই হ’তে পারে না। আলোর ক্ষীণ রেখাটিও সেখানে নেই—সমস্ত জায়গা ঘিরে রয়েছে একটা ঘুট্‌মুটে কালো অন্ধকার। উপরে সমুদ্র জলের নীল শোভা যেমন বিচিত্র, তেমনি ইহার অতল তলের গাঢ়তম অন্ধকারও বৈচিত্রময়। Վ)* 8Վ) - i: