পাতা:শিশু-ভারতী - অষ্টম খণ্ড.djvu/২৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

f്ട്ര-etഭ് ----------- o: লইতে পারেন বলিখা, মুদ্রা ও সেই ওজনের সোশার তালের বিনিময় মূল্য একই থাকে, তফাৎ হয় না। সোণার তালের পলিবৰ্ত্তে যে হারে মুত্রণ দেওয়া ছয়, তাঙ্গকে সোণার ‘টাকশালী দর’, (মিনট প্রাইস) কছে । ইংলণ্ডে সরকার যে কোন পবিমাণ সোণ৷ আউন্স প্রতি ৩ পা: ১৭ শি: ১• ¥ পেন্স দরে ক্রয় করিতে সৰ্ব্বদাই প্রস্তুত । সবকার যখন এই দৰে সোণা কিনিতে প্রস্থত তখন কেহই ইহা অপেক্ষা অল্প দলে সোণা বিক্রয় কলিতে চাহিৰে না। পক্ষাস্তবে যদি কোন বণিক টাকশালী দর অপেক্ষা বেশী দব দেন, তবে লোকে বিক্রয়ার্থ তাহার নিকট এত অধিক পবিমাণ সোণা উপস্থিত কৰিবে যে, সত্ববষ্ট সে, দর কমাইয়া দিতে বাধ্য হইবে ; কেন না সভারিশ গলাইয়া বিক্রয় কবিয়া মুনাফা করিতে কেহই দ্বিধা বোধ করিবে না। অতএব দেখা ধাইতেছে যে, সোণব দব, টাকশালী দবেল দ্বাবাষ্ট স্থিলীরত হয । - কোন দেশের সকল কাজ একমাত্র স্বর্ণমুদ্রাব দ্বারা চলে না—দুই বা তিন রকমের মুদ্রাল ব্যবস্থা বাfখতে হয । তাই সল দেশেই সোণ ছাড়াও রূপা ও তামার মুদ্রাব ব্যবস্থ। রাপিতে হয । এষ্ট সব গৌণ মুত্রায় যতটা পবিমাণ ধাতু থাকে তাছা অপেক্ষ উছার আরুতি-মূল্য বা মুদ্রা-মূল্য অধিক হয়। যদি ঐ গৌণ মুদ্রাগুলিতে যতটা ধাতু থাকে তাহাঁর মূল্য, মুদ্রা মূল্য অপেক্ষ অধিক হয়, তাছা হইলে লোকে ঐ সব মুদ্রা গলাচযা ফেলিবে এবং দেশেও আর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মুদ্রা দেখা যাইবে না। বাণী এলিজাবেপেৰ বাণিজ্য বিলয়ক পরামর্শদাতা তার টমাস গ্রেশাম আনুমানিক ১৫৪৯ খৃষ্টাব্দে এই নিয়মাবলীর সুস্পষ্ট রূপ দেন। নিয়মটা এই—“যেদেশেই দুই ধাতুর মুদ্রা একসঙ্গে চলৎ-সিন্ধা বলিয়া প্রচলিত সেই দেশেই মানুষ ঐ দুই রকম মুদ্রার মধ্যে যেটা অপেক্ষাকৃত মন্দ সেই অর্থদ্বারা বিনিময়ের কাজ চালtয, আল ভাল অর্থ ক্রমশ: অপ্রচলিত vইয়া অদৃগু হইয় পড়ে।” ইহাকেই সংক্ষেপে বলা হল যে “নিকৃষ্ট মুদ্র উৎকৃষ্ট মুদ্রাকে সরাইয়া দেয়।" কথাটা হয় ত ঠিক বুঝিতে পারিলে না, আর একটু বিশদ ভাবে বুঝাইয়া বলি। লোকের পাওনা মিটানোর জগুই প্রধানত: মুদ্র ব্যবহার - wo-sto হইয়া থাকে । আইনত: যদি হুইট ৰিভিন্ন ধাতু নির্মিত মুদ্রা দ্বারায় পাওনা মিটানো যায়—জুইট মুদ্রাই চলং সিকা বলিতে ইছাই বুঝায়—তবে স্বভাবতঃই লোকে দুইটার মধ্যে যেটা নিকৃষ্ট সেইটী দিয়াই গণ পৰিশোধ কলিবে এবং উংকৃষ্ট মুদ্রাট নিজেব কাছেই রাপিয়া দিলে। দুইটী মুদ্রার একটা উংকৃষ্ট ও অপরটি নিরষ্ট বলিলে এই বুঝিতে হইবে যে, দুইটর যে-কোনটী দ্বালাই ঋণ পরিশোধ করা গেলেও, সোশা রূপার বাজারে বা সে করার দোকানে দুইটীব সমান মূলা নাই। সেখানে সোণব দর রূপাব চেয়ে কিছু চড়া . অতএব স্বর্ণ মুদ্রাগুলিকে সোণা হিসাবে বাজাবে বিক্রয় করাই লাভজনক । তাই লোকে পাওনা মিটানোর জন্য বোপামুদ্রাগুলি ব্যবহাল কবিয স্বর্ণমুলা নিজের কাছেই বাগিষা দিলে এবং সমঘম ত সোণারূপার বাজাবে বা সেকলার দোকালে লিক্রয় করিবে । যখন দেখা যাক্টৰে যে সোণ বাজার হইতে সরিয়া পডিতেছে, তখন বুঝিতে হইবে যে লোকে উৎকৃষ্ট মুদ্রাট বাথিয়া নিকৃষ্ট মুদ্রাটাই ছাডিয়া দিতেছে। সকলে হতাদব মুদাই ঋণ-পবিশোধেব জন্ত ব্যবহার পরিয়া পাকে এবং উৎক্লষ্ট মুদাটী লাভজনক ভাবে পাটাইবার জন্য বাপিয়া দেয। ধবা যাক, টাকশালে ১৬ আউন্স রূপা জমা দিলে যতগুলি মুদ্রা পাওয়৷ যায, ১ আউন্স সোণা জমা দিলেও ঠিক ততট। মূল্যের মুদ্রা পাওযা যায়। তাছা হইলে আমার ১৬ আউন্স রূপ। ১ আউন্স সোণাব সমান হইল। আবও ধবা যাক যে সোণা-রূপার বাজাবেও সোণারূপা এই হাবে কেণা-বেচা হয়। এরূপ ক্ষেত্রে অামাব পাওনা মিটানোব সময় আসিলে আমি দুইটর যেটা ইচ্ছা সেইটী দিয়াট করিব। কেন না উভয় মুদ্রাই সমান উৎকৃষ্ট বা সমান নিকৃষ্ট ! সুতরাং কোন একটী বিশেষ ধাতু-নির্মিত মুদ্রাকে হাতছাড়া করিতে কোন কষ্ট হইবে না। কিন্তু যদি কোন কারণে সোণান্ধপার বাজাবে ১৭ আউন্স রূপার মূল্য ১ আউন্স সোণার মূল্যেব সমান চুইয়া দাড়ায় তাহা হইলে বাজার দর হিসাবে সোণার ধরাট পাকিবে এবং রৌপ্য মুদ্রানিকৃষ্ট মুদ্রা হইয়া দাড়াইবে কেন না এই অবস্থায় ১ আউন্স সোণা, সোণারপার বাজারে বিক্রয় করিঙ্গে ১৭ আউল রূপা পাওয়া