পাতা:শিশু-ভারতী - অষ্টম খণ্ড.djvu/২৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- تم


حمہم مہیجیام-*

উলডিল বলিলেন, “অবশেষে আমি এই কুটীরে আসিয়াছি।” ধীবর বলিল, “ভগবানের কৃপায় আপনি নিৰ্ব্বিঘ্নে গৃহে ফিরিতে পারিলেই আনন্দ ” উনডিন সহসা হাততালি দিয়া হাসিতে লাগিল। হুন্ডব্র্যাণ্ড বালিকার প্রতি চাহিয়া বলিলেন, “আমি আসিয়াছি বলিয়া তুমি এত আহলাদ প্রকাশ করিলে আবার এখন যাইব শুনিয়া আনন্দে হাসিতেছ কেন ?” “কেন হাসিতেছি, জান ? তুমি এখন এস্থান হইতে যাইতে পারিবে না। নম্বী ও হ্রদের অবস্থা দেখিতেছ না ? অামি উহাধের বেশ চিনি। এখন তোমার যাওয়া অসম্ভব ।” ইহা শুনিয়া যুবক ও ধীবর বাহিরে গেল । এবং দেখিল বালিকার কথা সত্য । চতুদিকেব জলরাশির মধ্যে ছোট কুটার্খানি যেন দ্বীপের ন্যায় উপরে ভাসিতেছে । ভিন হ্রদ ও নদীর জল যেন কোনও ঐন্দ্রজালিক শক্তির প্রভাবে সহসা ক্রমেই বদ্ধিত হইতে লাগিল। যুবক দেখিলেন, শীঘ্র এই স্থান হইতে বহির্গত হইবার কোন উপায় নাই। কিন্তু তিনি সে জন্য দুঃখিত হ হলেন না । অত্যন্ত আনন্দে তাহার দিন কাটিতে লাগিল । ছণ্ডএাণ্ড সমস্ত দিন তীর ও ধনুক লহয় বেড়াহঁতেন এবং জলচর পক্ষী বা অন্য কোনও শিকারের চেষ্টায় থাকিতেন। যে দিন কোন মৃত পক্ষী লইয়া ফিরিতেন, উনডিন র্তাহাকে অত্যন্ত তিরস্কার করিয়া বলিত, “এইরূপে অসহায় জীবনের প্রাণনাশ করা অত্যন্ত নিষ্ঠুরতা।” বালিকা মুত পক্ষীকে বুকে লইয়া কাধিত । আবার যে দিন যুবক শূন্তহস্তে ফিরিতেন, সে দিন বালিকা তাহাকে অত্যন্ত তিরস্কার করিয়া বলিত যে, “তোমার জঙ্ক রাত্রে মাংসের অভাবে কেৰল মৎস্ত আহার করিয়া থাকিতে হইবে।” কিন্তু বালিকার এইরূপ বিপরীত ভাব ও সময়ে সময়ে এরূপ স্বভাবের পরিবর্তন দেখিয়া হুন্ডব্র্যাণ্ড বিরক্ত হইতেন না। তাহার সরল হাসি, করুণ অশ্রু ও মধুৰ বচনে নবীন অতিথি বিমুগ্ধ হইতেন । এইরূপে যুবক ধীবরের কুটীরে বাস করিতে লাগিলেন। ক্রমে হুন্ডব্র্যাও উনডিনের অত্যন্ত F. 3–39 হইলেন । এই শান্তিময় সরল সুখময় আনন্দে কেবল একটি কারণে যুবক বড়ই ব্যথিত হইতেন। উন্‌চিন সারা দিন ধীবর-পত্নীকে বিরক্ত করিত, এবং এই জন্য সৰ্ব্বদা তিরস্কৃত হইত । হুন্ড ব্ল্যাণ্ড জানিতেন যে, বালিকারাই দোষ, তথাপি চঞ্চল প্রকৃতি সংলা পালিকাকে এইরূপ তিরস্কৃত হইতে দেখিলে অত্যন্ত দুঃখিত তহঁতেন । একদিন সন্ধ্যাপালে কুটারবাসীগণ সম্মুখের ছোট ঘরটিতে বসিয়া কথোপকথন করিতেছিল। সহসা পাহিল হইতে সুক দ্বারে করাঘাত করিল। চতুদিক জলে প্লাপিত, এ স্থানে মগুমু আসিবার কোন পথ নাহ, কে পল নিকটে ভীষণ অরণ্য । সহসা স্বাবে করাঘাত এধণ করিয়া সকলে ভীত ও চমকিত হইল। ছণ্ডব্যাণ্ড এক লম্ফে উঠিয়া দাড়াইলেন, এবং তরবারি পরিপেন, কিন্তু উনডিন প্রতিপদ্ধে দ্বাম্পে নিকটে গিয়া বলিল, “মর্ভ্যের প্রেতাত্মা, তোমার যদি মন্দ অভিসন্ধি থাকে কুহে লবণ তোমাকে যথোচিত শিক্ষা দিবে।” বালিকার এই অদ্ভুত বাক্য শুনিয়া সকলে অধিকতর ভীত হইল, এবং বিশ্বিতনয়নে সকলে তাহার প্রতি চাহিয়া রহিল। বাহির হইতে উত্তর হইল, “আমি প্রেতা স্না নই, কিন্তু আমার এই নরদেহে ভগবানের সেই স্বগীয় আত্মার এক পরমাণ অবস্থান করে । তোমরা কে এই কুটারে ? যদি ভগবানে বিশ্বাস থাকে, তাহ হ হলে দ্বার খুলিয়া আমাকে আশ্রয় দাও।” অপরিচিত ব্যক্তির কথা শেয না হইতেই বালিকা দ্বার খুলিয়া দিল এবং একজন বৃদ্ধ পুরোহিত কুটারে প্রবেশ করিলেন, কিন্তু উনডিনকে দেপিণ1মাত্র বিক্ষিত নয়নে দ্বারদেশে নিশ্চল হইয়া দাড়াইয়া বহিলেন। সহসা এই নির্জন স্থানে সামাক্ষ দরিদ্র ধীবরের কুটারে বালিকার অপূৰ্ব্ব সৌন্দর্য্য দেখিয় তাহার যেন আশ্চৰ্য্য মনে হইল । তিনি হস্ত উত্তোলন করিয়া তাহার প্রতি গম্ভীরভাবে চাহিয়া বলিলেন,—“ভগবানের নাম কর יין বালিকা উহার মনের জ্ঞাব বুঝিতে পারিয়া মৃগুমন্দ হাসিতে হাসিতে বলিল, “ঠাকুর, আমি প্রেতাত্মা বা অমানুষিক কিছু নহি । দেখুন, আমি ভগবানের নামে কিছুমাত্র ভয় পাহতেছি না, ©o¢ዓ بنه- هماهنامه